আমরা এর আগে জিএমও নিয়ে আলোচনা করার সময় পাঠকের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরেছিলাম আর রেখেছিলাম কিছু প্রশ্ন। সমাপ্তিতে ইঙ্গিত রেখেছিলাম কারা, ঠিক কি কারণে জিএমও নিয়ে আসতে চেয়েছিল এবং এখনও চাইছে। এবারের বিষয় ল্যাব মিট বা পরীক্ষাগারে তৈরী মাংস নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা সেই উদ্দেশ্যর প্রশ্ন সামনে রেখেই শুরু করবো।

মানুষের প্রাচীনতম খাদ্যের মধ্যে মাছ ও প্রাণীর মাংস অন্যতম। এই দুটো থেকেই আমাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটে। মানুষ প্রথমে শিকার পরবর্তীতে পশুপালন ও মাছ চাষ করে প্রয়োজনীয় মাংস ও মাছের যোগান পেয়েছে ।আজ যদিও অনেক মানুষের পাতেই তা খুবই কম পৌঁছায় অর্থনৈতিক সামর্থের অভাবে। তাহলে আজ হঠাৎ কি এমন ঘটলো যে মাংস পরীক্ষাগারে তৈরী করতে হবে?

দেখা যাক ঠিক কি কারণ হাজির করা হচ্ছে আমাদের সামনে আর কোন উদ্দেশ্য গোপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেশ কিছু দিন যাবৎ জলবায়ুর পরিবর্তন আর পরিবেশের উষ্ণায়ন অর্থাৎ গরম বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিশ্ব জুড়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন ডাই অক্সাইড এর মত কিছু গ্যাস যা উষ্ণতা বাড়ায়, যাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলে(যেমন মিথেন), এরকম গ্যাস বেড়ে যাওয়াই নাকি পৃথিবীর উত্তাপ বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। যেহেতু পশুর বর্জ্য ও পশুর দেহের যে অবশেষ থেকে যায় তার থেকে মিথেন বের হয় তাই নাকি গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর জন্য পশু পালন কমানো উচিত, মানুষের উচিত মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার কম খাওয়া অথবা একেবারেই না খাওয়া - এ জাতীয় অনেক খবরই বেশ কিছুদিন ধরে প্রচার করা হচ্ছে। আমাদের দেশে এর ওপরে আবার মাংস খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগাকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও প্রাণীর ওপর ক্রূরতা বন্ধ করা উচিত - এই মতও বেশ প্রচারের হাওয়া পেয়েছে। বিশ্ব জুড়ে ভেগান-বাদকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া গেছে। এটা বললেও অত্যুক্তি হবে না যে ভেগান-বাদ যেন এক নতুন ধর্ম হিসেবে হাজির হয়েছে।

পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিবিধ কারণ, কি উপায়ে তা কমানো যায়, এই তাপমাত্রা বাড়া বা তাপমাত্রা বাড়ার হার ঠিক কতটা উদ্বেগজনক তা এই লেখার আলোচ্য বিষয় নয়, তাই আমরা সে বিষয়ে বিশদ না গিয়ে দেখার চেষ্টা করবো প্রাণীর বর্জ্য ও দেহাবশেষ থেকে ঠিক কতটা গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরী হয় এবং তা সামগ্রিক গ্রিনহাউস গ্যাসের কত শতাংশ এবং এ ছাড়া আর কি কি কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরী হয়।

গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরী হওয়ায় বিশেষ ভূমিকা নেয় বিদ্যুৎ উৎপাদন, তাপ শক্তি ও যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত শক্তি(energy)[১] । সম্মিলিত ভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরীতে এই তিনটির অবদান শতকরা ৭৩.২%, যার মধ্যে কারখানায় ব্যাবহৃত শক্তির(তাপ ও বিদ্যুৎ) ভূমিকাই ২৪% এর বেশি। এছাড়াও সরাসরি কারখানা থেকে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাস, কৃষি ও বনাঞ্চল(১৮.৪%), প্রাণী বর্জ্য ও প্রাণীর দেহাবশেষ ও অন্যান্য উৎস থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরী হয়। পশু ও তাদের বর্জ্য থেকে এবং পশুর দেহাংশ বা waste-এর থেকে উৎপন্ন গ্রিনহাউস গ্যাস, যথাক্রমে সামগ্রিক গ্রিনহাউস গ্যাসের ৫.৮% এবং ৩.২%।

তাহলে এখন প্রশ্ন জাগে পশুপালন ও পশুর সংখ্যা কমিয়ে, নিরামিষ খেয়ে বা দুগ্ধজাত খাবার বর্জন করে কত শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস কমানো সম্ভব? যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেওয়া হয় যে গ্রিনহাউস গ্যাসই পৃথিবীর উষ্ণতার কারণ, তাহলেও যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস এভাবে কমানো সম্ভব তা ঠিক কতটা উষ্ণতা কমাতে পারে? বোঝাই যাচ্ছে তা খুবই নগণ্য কারণ সামগ্রিক গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্র ৯% প্রাণীর বর্জ্য ও দেহাবশেষ থেকে উৎপন্ন হয়। মজার বিষয় হল, কৃষি, জঙ্গল এবং জমির ব্যাবহারের থেকে যে ১৮.৪% গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরী হয়, মাংস খাওয়া কমিয়ে নিরামিষ খেলে কৃষিকাজ আরো বাড়বে অতএব কৃষি থেকে উৎপন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণও বাড়বে।নিরামিষ খেলে গ্রিনহাউস গ্যাস কমবে, যাঁরা এই অবান্তর প্রচার করেন তাদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে, তুল্যমূল্য বিচারে নিরামিষ খেয়ে ঠিক কতটা গ্রিনহাউস গ্যাস কমানো সম্ভব এবং তা কতটা উষ্ণতা কমাতে পারে? তাই প্রশ্ন জাগে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর জন্য নিরামিষ খাওয়া বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা প্রচার করা নিতান্ত হাস্যকর হলেও কেনো তা প্রচার করা হচ্ছে?

                                                                        

তবু প্রচার তো হচ্ছেই। গার্ডিয়ানের [২]- এ ৩১ মে ২০১৮ এক প্রতিবেদন থেকে শুরু করে ( শিরোনাম "Avoiding meat and dairy is ‘single biggest way’ to reduce your impact on Earth") ২০২১-এর [৩]- প্রতিবেদন, অথবা হালফিলের গার্ডিয়ানের এর আরেকটি প্রতিবেদন[৪] দেখলেই বোঝা যায় হাস্যকর ও বিকৃত যুক্তি সাজিয়ে মাংস খাওয়া কমানোর যে প্রচার শুরু হয়েছিল গত ৫ বছরে তা বেশ গতি পেয়েছে, আর ঠিক একই সময় গতি পেয়েছে ল্যাব মিট বা পরীক্ষাগারে মাংস তৈরীর প্রক্রিয়া, যাতে খাদ্য হিসাবে তা বাজারে আনা যায়। সঙ্গে এক অনুসারী প্রচারও বাজারে আনা হয় যে, খামারের পশুর মাংসের বদলে ল্যাব মিট খেলে গ্রিনহাউস গ্যাস কম তৈরী হবে, কারণ এখানে দেহাবশেষ ও বর্জ্য তৈরী হবে না। অর্থাৎ ল্যাব মিট নাকি প্রকৃতি বান্ধব।

প্রশ্ন হলো - সত্যিই কি তাই? একটা বার্গারে যে পরিমাণ মাংস লাগে তা পরীক্ষাগারে তৈরী করতে হলে প্রায় ১৬০ টা গর্ভবতী গরুর fetal bovine serum(সংক্ষেপে FBS, FBS পাওয়া যায় গর্ভবতী গরুর গর্ভাশয় থেকে) লাগবে। [৫] বাকি প্রক্রিয়ায় আর কি দূষণ হতে পারে সে প্রসঙ্গ যদি বাদও রাখা হয়, প্রশ্ন জাগে ওই ১৬০ টা মৃত গরুর দেহাবশেষ থেকে কি গ্রিনহাউস গ্যাস বেরোবে না? অর্থাৎ বিষয়টা ঠিক উল্টো, যদি এই ভাবে ল্যাব মিট তৈরী করতে হয়, তাহলে অনেক বেশি পশু পালন করতে হবে।

ল্যাব মিট তৈরীতে fetal bovine serum-এর ভূমিকা বোঝার জন্য আমাদের ল্যাব মিট তৈরীর পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে।

ল্যাব মিট তৈরী করার জন্য কোনো জীবিত প্রাণীর পেশীর একটা অংশ কেটে নিয়ে, পরীক্ষাগারে সেই পেশীর মাংসের বৃদ্ধি ঘটানো হয়। এই কাজের জন্য একটি তরল আধার লাগে এবং এই fetal bovine serum সেই আধার হিসেবেই ব্যাবহৃত হয়। [৬] এই প্রক্রিয়ায় মাংস পেশীর বৃদ্ধি একটা সীমা অবধি হতে পারে। তাছাড়া fetal bovine serum এর দামও খুব বেশি। তাই এই মাংস বাজারে আনা হলেও তার দাম আকাশ ছোঁয়া। তাই এই পদ্ধতি বদল করে অন্য প্রযুক্তিতে ল্যাব মিট তৈরী করছে কিছু কোম্পানি। সেক্ষেত্রে বায়ো রি-অ্যাক্টর দিয়ে জেনেটিকালি কালচারড মাংসের বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে কারণ তাতে কম খরচে বেশি মাংস প্রস্তুত করা সম্ভব। কিন্তু জীন পরিবর্তিত প্রযুক্তিতে প্রস্তুত এই মাংসে ক্যানসার সৃষ্টিকারী জিনের উপস্থিতি নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। সমস্যার বিষয় হলো, এই নিয়ে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোও খুব পরিষ্কার ভাবে কিছু জানাতে চায় না। এমনকি কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষাগারে মাংস তৈরী হচ্ছে তাও গোপনীয় রাখার জন্যে পেটেন্টের দাবিও করা হয় না। এই গোপনীয়তা সন্দেহ আরো বাড়িয়ে দেয়।

এছাড়াও পরীক্ষাগারে তৈরী হয় plant based meat যাকে বাংলায় বলা যেতে পারে উদ্ভিদজাত মাংস, যা উদ্ভিদ থেকে তৈরী নিরামিষ খাদ্য কিন্তু স্বাদ অনেকটা মাংস বা মাছের মত। উদ্ভিদজাত মাংস কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। অনেকে এই খাদ্য স্বাস্থ্যকর মনে করলেও, এই খাদ্যে অনেক বেশি সোডিয়াম(সাধারণ মাংসের তুলনায় প্রায় ৬ গুন বেশি), কৃত্রিম রং, preservative, কারসিনোজেন এবং methylcellulose থাকায় এই খাদ্য স্বাস্থ্যকর নয়। প্রশ্ন আরো আছে, যে উদ্ভিদজাত বস্তু ব্যাবহার করে এই নিরামিষ মাংস তৈরী হয় তা কি জিন পরিবর্তন প্রযুক্তি? উত্তর দেওয়া কঠিন কারণ এ বিষয়ে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়।

কিন্তু এই দুই ধরনের খাদ্যের ক্ষেত্রেই প্রশ্নটা থেকেই যায় যে কোন উদ্দেশ্যে এই গুলো নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে। যে চেষ্টার অংশ হিসেবে গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর মিথ্যে প্রচার, পুষ্টিকর খাদ্যর অজুহাত সবই রয়েছে। এ যাবৎ আলোচনায় উঠে আসা বিষয়গুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি, এই দুপ্রকার খাদ্যই পরীক্ষাগার ছাড়া প্রস্তুত করা সম্ভব নয় এবং এই কাজে প্রয়োজন প্রচুর অর্থ। অর্থাৎ বড় বড় কোম্পানিগুলো ছাড়া আর কেউ তা তৈরী করতে পারবে না। জিন শস্য চাষ নিয়ে আলোচনার সময় আমরা দেখেছি, চাষাবাদ কে ক্ষুদ্র চাষীদের ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গিয়ে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার এবং কর্পোরেটের হাতে কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টা। ল্যাব মিটের ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম নেই। যদি সত্যিই এই ল্যাব মিট, লাইভ মিট(পশু খামার থেকে আসা মাংস) কে সরিয়ে মানুষের পাতে জায়গা করে নিতে পারে, তাহলে আমিষ খাদ্যের এক বড় অংশও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, আর মানুষ নিজের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে আরো বেশি এই কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। মানুষকে নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে খাদ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ, তা এই কোম্পানিগুলো বেশ ভালই বোঝে।

তাই এই প্রশ্ন বড় তীব্র হয়ে ওঠে যে এই ব্যাপক প্রচার, এই সামগ্রিক প্রচেষ্টার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কি আসলে কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর মুনাফা বাড়ানোর রাস্তা সুগম করে, তাদের হাতেই খাদ্যের উৎস ও যোগান তুলে দিয়ে এক এমন ব্যবস্থা তৈরী করা, যাতে সাধারণ মানুষকে সার্বিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা আরো সহজ হয়ে যায়? প্রশ্ন আরো আছে। পৃথিবীতে একটা বড় সংখ্যক মানুষ কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত বাজারের চাহিদা ও যোগানের যে অর্থনীতি তার বাইরেই থাকেন, বা বলা ভালো থাকতে বাধ্য হন, যাদেরকে অনেকেই আজকাল সামাজিক উদ্বৃত্ত ও অহেতুক অন্ন-ধ্বংসকারী(useless eater) মনে করে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে, পত্রিকায় এবং ডিজিটাল মাধ্যমে একটা কথা ঘোরা ফেরা করছে যে আগামী কিছু বছরে এই useless eater-দের সংখ্যা বহুল অংশে কমিয়ে ফেলা প্রয়োজন, মানুষের টিকে থাকার স্বার্থে। সামগ্রিক ভাবে খাদ্যের ওপর কর্পোরেট নিয়ন্ত্রন কায়েম এবং খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত এক বিশাল সংখ্যক মানুষকে রুজিহীন করার এই প্রয়াস, অমানবিক ভাবে লোকসংখ্যা কমানোর সেই প্রচেষ্টার অংশ নয়তো? আর একটা কথা, কোনো সভ্য সমাজে, তা সে ধর্মের অজুহাতেই হোক বা ভেগানিসম, কেউ কি অন্য কাউকে এই নিদান দিয়ে দিতে পারে যে সে কি খাবে আর কি খাবে না? আর এটাও দেখার মত বিষয়, এই নিদান কাদের দেওয়া হচ্ছে? আমাদের মত দেশে(এবং পৃথিবীর অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশেই) যেখানে ৮০% এর বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে, অপুষ্টিতে ভুগে এক বিশাল অংশের মানুষ বিভিন্ন রোগে জর্জরিত, যেখানে মিড-ডে মিলে অনেক সময় সপ্তাহে একদিনও শিশুদের পাতে আমিষ পরে না, সেখানে আমিষ কম খাওয়ার নিদান দেওয়াটা কি আরও বেশি অশালীন নয়? নাকি প্রথম ধাপে বিভিন্ন অজুহাতে আমিষ কম খাওয়ার নিদান দিয়ে, পরের ধাপে ব্যাক্তিগত বা ছোট উদ্যোগের পশুপালন বন্ধ করে, তারপর ল্যাব মিট কে জনগণের মধ্যে গ্রহণ যোগ্য করে তোলাটাই পরিকল্পনা, যার প্রথম ধাপটুকু আমরা আজ দেখছি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ভাবতে হবে আমাদেরকেই।

জনস্বাস্থ্যের দিক থেকে ভাবলে, দীর্ঘকালীন পরীক্ষা ও তার ফলাফল পর্যালোচনার মাধ্যমে এই খাবারের গুণাগুণ বিচার না করে এবং ল্যাব মিট ক্যান্সার বা অন্য কোনো রোগের যে কারণ হয়ে উঠবে না এ বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে, সাধারণ মানুষের পাতে তুলে দেওয়াটা কোনও ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। তবে আজকের পৃথিবীতে প্রশাসনের কাছে সে নৈতিকতা আশা করাও দুষ্কর, যেখানে প্রশাসন কর্পোরেটের অনুসরণকারী হয়ে গেছে। আর এসব ইউরোপ, আমেরিকার বাজারের জন্য তৈরী হচ্ছে, আগে ওদের দেশেই আসবে, এই ভেবে নিশ্চিন্ত হওয়ার বিশেষ সুযোগও নেই, ল্যাব মিট আমাদের দেশে এসে গেছে, আর শুধু তাই নয়, প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমগুলো তা বেশ জোরালো ভাবে প্রচারও করছে।[৭]

তথ্যসূত্র : 

১. ourworldindata.org

২. www.theguardian.com

৩. https://www.downtoearth.org.in/blog/climate-change/cop26-meat-eating-is-a-big-climate-issue-but-isn-t-getting-the-attention-it-deserves-80125

৪. https://www.theguardian.com/environment/2023/mar/06/meat-dairy-rice-high-methane-food-production-bust-climate-target-study

৫. https://www.nongmoproject.org/blog/whats-so-clean-about-clean-meat-anyway/

৬. https://www.centerforfoodsafety.org/blog/6458/is-lab-grown-meat-healthy-and-safe-to-consume

৭. https://www.ntvbd.com/world/news-1246293