চাষের জমি, পানীয় জল, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল, ভূগর্ভস্থ খনিজ - প্রকৃতির সমস্ত সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানিদের কাছে মুনাফাদায়ী পণ্য মাত্র, তারা পরিবেশ রক্ষার পরোয়া করে না। কর্পোরেটদের নির্ধারণ করা উন্নয়নের যে মডেল আমাদের দেশে/ রাজ্যে বহাল রয়েছে তাতে পারমাণবিক শক্তির মতো বিপজ্জনক বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি বর্তমানে 'ক্লিন এনার্জি' বা পরিবেশ বান্ধব শক্তির তকমা পাচ্ছে! পাশাপাশি কর্পোরেট ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ সরকারদের হাতে কৃত্রিম জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিকতম যুদ্ধাস্ত্র। আমাদের রাজ্যসভায় হওয়া আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে যে ভারতের হাতে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি ভালভাবেই মজুত রয়েছে। অভাব রয়েছে কেবল কর্পোরেট মুনাফার হিসাবের বাইরে বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার। প্রকৃতি পরিবেশকে রক্ষা করার বদলে কর্পোরেট ঔদ্ধত্য জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, কারণ জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যে কোন জায়গার বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা-খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।



"এই মেয়ে শোন এই রাত এই ভোর
যতখানি পুরুষের ততখানি তোর"
ফারজানা ওয়াহিদ শাওনের এই গান আজ কত না মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।নারী,পুরুষ,শিশু, কিশোর,বাচ্চা-কোলে মা,লাঠি-হাতে বৃদ্ধা,ছোট দোকানদার,বড় অফিসার,---সকলেই গলা মেলাচ্ছে এই গানে।বয়স-পেশা-লিঙ্গ নির্বিশেষে।না,শুধু গানেই গলা মেলাচ্ছে না।পথে নামছে মানুষ।পথে নেমেছে।নেমেই চলেছে।বিরামহীন,যতিচিহ্নহীন।শুধু পাকা রাস্তাতেই নামছে না।নামছে মেঠো পথে।নামছে মহানগরে,মফস্বলে,গাঁ-গঞ্জে।জনস্রোত স্লোগানে সোচ্চার:বিচার চাই, বিচার।চাই বিচার। WE WANT JUSTICE।
মেলিন্ডা গেটস সম্প্রতি ঘুরে গেলেন ভারত। তথা উত্তরপ্রদেশ। ভূয়সী প্রশংসা করে গেলেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের। কোভিড সামলানোর ক্ষেত্রে। যেভাবে সারা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে টীকাকরণ অভিযান চালানো হয়েছে, তার। বলেছেন যে উত্তরপ্রদেশের টীকাকরণ অভিযান থেকে শেখা উচিত শুধু সারা ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর। বলেছেন যে ভবিষ্যতে তিনটি ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং কৃষি১।
আমাদের মনে আছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে (দিল্লীর এক প্রান্ত) হাজারে হাজারে শ্রমিকের বাড়ি ফেরার জন্য বাসে, ট্রেনে ওঠার চেষ্টা। না পেরে, সরকারী সাহায্যের উদাসীনতায়, শ্রমিকদের কষ্টের প্রতি উন্নাসিকতায়, পায়ে হেঁটে, ভারতের আর এক প্রান্তে নিজের বাড়ী ফেরার জন্য লঙ মার্চ। সঙ্গী ছিল, পুলিশের দ্বারা হয়রানি। লকডাউনের শুরুতে। আমার মনে হয়েছে মেলিন্ডা গেটস হয়ত এটা শিখতে বলেছেন, ভারতের অন্যান্য প্রদেশকে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে। এ প্রসঙ্গে ভুলে গেলে চলবে না যে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, গোটা পৃথিবীর লকডাউনের সময়ে, সব দেশের মধ্যে ভারতে জনগণের ওপর বিধিনিষেধ ছিল সবথেকে কড়া এবং মানুষকে সাহায্য দেওয়া হয়েছিল সবথেকে কম২।
আমাদের মনে আছে, এই লকডাউনের সুযোগে ভারতে শ্রমিক এবং কৃষকদের ওপর আইনী আক্রমণ নামিয়ে আনা
...বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশবাদ, ভৌগোলিক ভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই সময়ে সাম্রাজ্যবাদ তাদের শোষন চালাত অধিগৃহীত দেশগুলোতে কৃষি ও খনিজ সম্পদ এবং শ্রমশক্তি শোষণের মাধ্যমে পুঁজির পুঞ্জীভবন করে। সেই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদীরা মানবজাতির শোষণের অন্য কোনও উপায় জানত না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু থেকেই সাম্রাজ্যবাদের অগ্রসর হওয়ার ধারা থমকে যায় এবং উপনিবেশগুলোতে স্বাধীনতা সংগ্রাম তীব্রতর হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, অনেক উপনিবেশকে তথাকথিত স্বাধীনতা প্রদান করতে হয়েছিল, এবং সেইজন্য পূর্বতন শাসকদের দ্বারা তাদের পরোক্ষ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়েছিল বিভিন্ন জোট, কমনওয়েলথ ইত্যাদি শব্দের আড়ালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কিছু কিছু উপনিবেশ, যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তারা সেই লড়াইয়ের মাধ্যমেই প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নিজেদের আর্থ-সামাজিক কাঠামো পরিবর্তন করেছিল। এসব থেকে সাম্রাজ্যবাদ বড় ধাক্কা খেয়েছে। তারা বেগতিক বুঝে প্রকাশ্য ভৌগোলিক আধিপত্য পরিত্যাগ করে সামাজিক আধিপত্যে মনোনিবেশ করে, এবং পুঁজিবাদকে সামাজিক কাঠামোর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার পথ নেয়। তারা নাৎসিদের কাছ থেকে পাওয়া বিদ্যাকে পুঁজি
...বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশবাদ, ভৌগোলিক ভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই সময়ে সাম্রাজ্যবাদ তাদের শোষন চালাত অধিগৃহীত দেশগুলোতে কৃষি ও খনিজ সম্পদ এবং শ্রমশক্তি শোষণের মাধ্যমে পুঁজির পুঞ্জীভবন করে। সেই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদীরা মানবজাতির শোষণের অন্য কোনও উপায় জানত না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু থেকেই সাম্রাজ্যবাদের অগ্রসর হওয়ার ধারা থমকে যায় এবং উপনিবেশগুলোতে স্বাধীনতা সংগ্রাম তীব্রতর হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, অনেক উপনিবেশকে তথাকথিত স্বাধীনতা প্রদান করতে হয়েছিল, এবং সেইজন্য পূর্বতন শাসকদের দ্বারা তাদের পরোক্ষ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়েছিল বিভিন্ন জোট, কমনওয়েলথ ইত্যাদি শব্দের আড়ালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কিছু কিছু উপনিবেশ, যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তারা সেই লড়াইয়ের মাধ্যমেই প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নিজেদের আর্থ-সামাজিক কাঠামো পরিবর্তন করেছিল। এসব থেকে সাম্রাজ্যবাদ বড় ধাক্কা খেয়েছে। তারা বেগতিক বুঝে প্রকাশ্য ভৌগোলিক আধিপত্য পরিত্যাগ করে সামাজিক আধিপত্যে মনোনিবেশ করে, এবং পুঁজিবাদকে সামাজিক কাঠামোর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার পথ নেয়। তারা নাৎসিদের কাছ থেকে পাওয়া বিদ্যাকে পুঁজি
...স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের সাম্রাজ্যবাদ (পর্ব ১)
আমরা এর আগে জিএমও নিয়ে আলোচনা করার সময় পাঠকের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরেছিলাম আর রেখেছিলাম কিছু প্রশ্ন। সমাপ্তিতে ইঙ্গিত রেখেছিলাম কারা, ঠিক কি কারণে জিএমও নিয়ে আসতে চেয়েছিল এবং এখনও চাইছে। এবারের বিষয় ল্যাব মিট বা পরীক্ষাগারে তৈরী মাংস।