
২২, ২৩ ও ২৪ শে মে, ২০২৫ পনেরো বছরের পুরোনো কমার্শিয়াল গাড়ির লাইসেন্স বাতিলের বিরুদ্ধে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনের পক্ষে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। শুক্রবার, ২৩ শে মে, বিকেলে যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড এবং সংলগ্ন এলাকার অটো স্ট্যান্ডগুলোতে জনস্বাস্থ্য মোর্চার তরফে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়।
প্রতি পনেরো বছর অন্তর লাইসেন্স বাতিলের জুলুমে আমাদের শহরের সস্তার গণপরিবহন ব্যবস্থা ধুঁকছে। এই নতুন আইন কি আদৌ শহরে বাতাসের মান ফিরিয়ে আনতে পারবে? এই বিষয়ে আমাদের লিফলেট এখানে পড়ুন। বেশ কয়েকজন অটো চালকের সঙ্গে জনস্বাস্থ্য মোর্চার সদস্যদের কথপোকথনে উঠে আসে কোর্টের হতাশাজনক রায়ের কথা। নতুন আইনের ফলে বাস, অটো ও ট্যাক্সি মালিকরা প্রতি পনেরো বছর অন্তর নতুন গাড়ি কেনার জন্য নতুন ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে। বাসের পুরোনো রুট উঠে যাওয়ায় কর্মহারা হচ্ছে অনেক মানুষ। সহজলভ্য গণপরিবহন ব্যবস্থা শক্তিশালী করে গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আজ থেকে আমাদের প্রচার কর্মসূচি শুরু হল।


"এই মেয়ে শোন এই রাত এই ভোর
যতখানি পুরুষের ততখানি তোর"
ফারজানা ওয়াহিদ শাওনের এই গান আজ কত না মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।নারী,পুরুষ,শিশু, কিশোর,বাচ্চা-কোলে মা,লাঠি-হাতে বৃদ্ধা,ছোট দোকানদার,বড় অফিসার,---সকলেই গলা মেলাচ্ছে এই গানে।বয়স-পেশা-লিঙ্গ নির্বিশেষে।না,শুধু গানেই গলা মেলাচ্ছে না।পথে নামছে মানুষ।পথে নেমেছে।নেমেই চলেছে।বিরামহীন,যতিচিহ্নহীন।শুধু পাকা রাস্তাতেই নামছে না।নামছে মেঠো পথে।নামছে মহানগরে,মফস্বলে,গাঁ-গঞ্জে।জনস্রোত স্লোগানে সোচ্চার:বিচার চাই, বিচার।চাই বিচার। WE WANT JUSTICE।
মেলিন্ডা গেটস সম্প্রতি ঘুরে গেলেন ভারত। তথা উত্তরপ্রদেশ। ভূয়সী প্রশংসা করে গেলেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের। কোভিড সামলানোর ক্ষেত্রে। যেভাবে সারা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে টীকাকরণ অভিযান চালানো হয়েছে, তার। বলেছেন যে উত্তরপ্রদেশের টীকাকরণ অভিযান থেকে শেখা উচিত শুধু সারা ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর। বলেছেন যে ভবিষ্যতে তিনটি ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং কৃষি১।
আমাদের মনে আছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে (দিল্লীর এক প্রান্ত) হাজারে হাজারে শ্রমিকের বাড়ি ফেরার জন্য বাসে, ট্রেনে ওঠার চেষ্টা। না পেরে, সরকারী সাহায্যের উদাসীনতায়, শ্রমিকদের কষ্টের প্রতি উন্নাসিকতায়, পায়ে হেঁটে, ভারতের আর এক প্রান্তে নিজের বাড়ী ফেরার জন্য লঙ মার্চ। সঙ্গী ছিল, পুলিশের দ্বারা হয়রানি। লকডাউনের শুরুতে। আমার মনে হয়েছে মেলিন্ডা গেটস হয়ত এটা শিখতে বলেছেন, ভারতের অন্যান্য প্রদেশকে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে। এ প্রসঙ্গে ভুলে গেলে চলবে না যে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, গোটা পৃথিবীর লকডাউনের সময়ে, সব দেশের মধ্যে ভারতে জনগণের ওপর বিধিনিষেধ ছিল সবথেকে কড়া এবং মানুষকে সাহায্য দেওয়া হয়েছিল সবথেকে কম২।
আমাদের মনে আছে, এই লকডাউনের সুযোগে ভারতে শ্রমিক এবং কৃষকদের ওপর আইনী আক্রমণ নামিয়ে আনা
...বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশবাদ, ভৌগোলিক ভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই সময়ে সাম্রাজ্যবাদ তাদের শোষন চালাত অধিগৃহীত দেশগুলোতে কৃষি ও খনিজ সম্পদ এবং শ্রমশক্তি শোষণের মাধ্যমে পুঁজির পুঞ্জীভবন করে। সেই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদীরা মানবজাতির শোষণের অন্য কোনও উপায় জানত না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু থেকেই সাম্রাজ্যবাদের অগ্রসর হওয়ার ধারা থমকে যায় এবং উপনিবেশগুলোতে স্বাধীনতা সংগ্রাম তীব্রতর হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, অনেক উপনিবেশকে তথাকথিত স্বাধীনতা প্রদান করতে হয়েছিল, এবং সেইজন্য পূর্বতন শাসকদের দ্বারা তাদের পরোক্ষ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়েছিল বিভিন্ন জোট, কমনওয়েলথ ইত্যাদি শব্দের আড়ালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কিছু কিছু উপনিবেশ, যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তারা সেই লড়াইয়ের মাধ্যমেই প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নিজেদের আর্থ-সামাজিক কাঠামো পরিবর্তন করেছিল। এসব থেকে সাম্রাজ্যবাদ বড় ধাক্কা খেয়েছে। তারা বেগতিক বুঝে প্রকাশ্য ভৌগোলিক আধিপত্য পরিত্যাগ করে সামাজিক আধিপত্যে মনোনিবেশ করে, এবং পুঁজিবাদকে সামাজিক কাঠামোর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার পথ নেয়। তারা নাৎসিদের কাছ থেকে পাওয়া বিদ্যাকে পুঁজি
...বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশবাদ, ভৌগোলিক ভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই সময়ে সাম্রাজ্যবাদ তাদের শোষন চালাত অধিগৃহীত দেশগুলোতে কৃষি ও খনিজ সম্পদ এবং শ্রমশক্তি শোষণের মাধ্যমে পুঁজির পুঞ্জীভবন করে। সেই সময়ে, সাম্রাজ্যবাদীরা মানবজাতির শোষণের অন্য কোনও উপায় জানত না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু থেকেই সাম্রাজ্যবাদের অগ্রসর হওয়ার ধারা থমকে যায় এবং উপনিবেশগুলোতে স্বাধীনতা সংগ্রাম তীব্রতর হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, অনেক উপনিবেশকে তথাকথিত স্বাধীনতা প্রদান করতে হয়েছিল, এবং সেইজন্য পূর্বতন শাসকদের দ্বারা তাদের পরোক্ষ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়েছিল বিভিন্ন জোট, কমনওয়েলথ ইত্যাদি শব্দের আড়ালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, কিছু কিছু উপনিবেশ, যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, তারা সেই লড়াইয়ের মাধ্যমেই প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নিজেদের আর্থ-সামাজিক কাঠামো পরিবর্তন করেছিল। এসব থেকে সাম্রাজ্যবাদ বড় ধাক্কা খেয়েছে। তারা বেগতিক বুঝে প্রকাশ্য ভৌগোলিক আধিপত্য পরিত্যাগ করে সামাজিক আধিপত্যে মনোনিবেশ করে, এবং পুঁজিবাদকে সামাজিক কাঠামোর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার পথ নেয়। তারা নাৎসিদের কাছ থেকে পাওয়া বিদ্যাকে পুঁজি
...স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের সাম্রাজ্যবাদ (পর্ব ১)
আমরা এর আগে জিএমও নিয়ে আলোচনা করার সময় পাঠকের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরেছিলাম আর রেখেছিলাম কিছু প্রশ্ন। সমাপ্তিতে ইঙ্গিত রেখেছিলাম কারা, ঠিক কি কারণে জিএমও নিয়ে আসতে চেয়েছিল এবং এখনও চাইছে। এবারের বিষয় ল্যাব মিট বা পরীক্ষাগারে তৈরী মাংস।
গত দুই বছর যাবৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তোড়জোড় চালাচ্ছে তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে মহামারীর অজুহাতে চুক্তিবদ্ধ করতে। জনস্বাস্থ্যের দোহাই দিলেও এই চুক্তি আদতে মানুষকে সংক্রামক রোগের ভয় দেখিয়ে হরেক রকম বিধি নিষেধের আওতায় বেঁধে ফেলার এক আইনি ফিকির। সরকারের One Health Policy নীতিগত অবস্থানে খাদ্য, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য পরিষেবাকে জনস্বাস্থ্যের পরিধি হিসেবে নির্দিষ্ট করেছে। অথচ সরকারি স্বাস্থ্য বাজেট বরাদ্দ হয় মূলত স্বাস্থ্য বীমা এবং সংক্রামক রোগের চিকিৎসা এবং প্রতিষেধকের খাতে। এমত অবস্থায় আমরা, জনস্বাস্থ্য মোর্চা, মনে করছি যে প্যান্ডেমিক চুক্তি ও IHR 2005 সংশোধনীগুলি জনস্বাস্থ্যের সার্বিক পরিসরকে আরও সঙ্কুচিত করবে। দেশবাসীর সার্বিক পুষ্টি, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, বিনামূল্যে সরকারি আউটডোর স্বাস্থ্য পরিষেবা, ওষুধের দাম ও মান নির্ণয়, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্বাধীন গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অবহেলিত থেকে যাবে আরও বেশি।