আজ দুই মাস পার করেও তিলোত্তমা সুবিচার পায় নি। আজ একথা সকলের কাছে পরিষ্কার যে তিলোত্তমার মৃত্যু একটি প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা ছিল। তিলোত্তমার ধর্ষণ ও হত্যার কারণ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি, কালোবাজারি, সিন্ডিকেট রাজ শাসকদল, পুলিশ, প্রশাসন, আমলা, কর্পোরেট সকলেই এই অশুভ চক্রে যুক্ত। রাজ্য বা কেন্দ্র কোন প্রশাসনের থেকেই সুবিচার যে সহজলভ্য নয় তা আজ মানুষের কাছে স্পষ্ট। রাজ্যের মানুষ গত দুই মাসে এই মাফিয়াচক্রের বিরুদ্ধে এক স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এই জনজাগরণকে সংগঠিত করে উভয় সরকারের কাছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক ধারাবাহিক সংস্কারের দাবি আমাদের রাখতে হবে। এই আন্দোলনের প্রাথমিক দাবি সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় সরকার - প্রশাসন - কর্পোরেট সিন্ডিকেট যে অরাজকতার সৃষ্টি করেছে তা অবিলম্বে বন্ধ করে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
স্বাস্থ্য কোন ভিক্ষা নয়, স্বাস্থ্য আমাদের অধিকার ।