২৪ ও ২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে চারঘণ্টার নোটিশে লকডাউন করা হল, তখন বলা হল-(১) বাস, ট্রাম,ট্রেন, বিমান, জাহাজে করে বা এমনকি পায়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া বন্ধ, (২) বাড়ির বাইরে বেরনো চলবে না, (৩) অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, দোকান-বাজার, নাটক-সিনেমাহল,কারখানা সব বন্ধ। এমনকি খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে না যাওয়ার কথাও বলা হল। সভা-সমিতি, মিছিল-জমায়েত বন্ধ। ভারতবর্ষের সংবিধান দ্বারা প্রাপ্ত অধিকারগুলো খর্ব হলো
Youtube এ ভিডিও টি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
'নাগরিকের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব অস্বীকার করার পরিস্থিতিটা তৈরি হয়েছে, মানুষের প্রতিরোধ আন্দোলনের অনুপস্থিতির সুযোগে। এটা হঠাৎ করে আজকে, বা কোভিড-এর কারণে শুরু হয়েছে এরকম নয়। শুরুটা অনেক আগেই হয়েছিল। শিক্ষাপদ্ধতি এবং বিষয়বস্তুর এই পরিবর্তনটা হওয়ারই ছিল। কোভিড পরিস্থিতি একটা যুক্তিগ্রাহ্যতা দিয়েছে মাত্র। কোভিড অতিমারি সম্পর্কে যে প্রায় একটা সর্বজনগ্রাহ্য ভয় তৈরি করা গেছে, সেটার কারণে, জনগণের একটা বড় অংশ, যাঁরা শিক্ষার অর্জিত অধিকার হরণের প্রতিবাদ করাতে পারতেন, তাঁদেরকেও ভাবানো গেছে এছাড়া আর কিছু করার ছিল না।ফলস্বরূপ শাসকেরা প্রায় নিরুপদ্রবে, নির্বিঘ্নে শিক্ষাক্ষেত্রের এই পরিবর্তনটা ঘটিয়ে ফেলার সুযোগ পেয়েছেন।'
এমনটাই ভাবছেন, অধ্যাপক শুভেন্দু দাশগুপ্ত।
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে, ১৬ নভেম্বর, ২০২১, মঙ্গলবার থেকে আবার স্কুলের পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে লকডাউনের কারণে শিক্ষার সুযোগ হারিয়ে, অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী সস্তা শ্রমের বাজারে জড়ো হয়েছেন। শুধুমাত্র দুবেলা খাওয়ার সংস্থান নিশ্চিত করতে অসংখ্য নাবালিকার বিয়ে হয়েছে। নারী পাচার বেড়েছে। ভ্যাকসিন-কে অলিখিত ভাবে লকডাউনের অচলাবস্থা থেকে পরিত্রাণের শর্ত করে তোলা হয়েছে।
টিকার দুটি ডোজ, তারপরে ষান্মাসিক বুস্টার ডোজ, ভবিষ্যতে এটা সাপ্তাহিক বা দৈনিক হতে পারে কিনা সেসম্পর্কে কোন পরিষ্কার ধারণা কোথাও আছে বলে মনে হচ্ছে না। এরপরে নাকে-মুখে কাপড় এঁটে দুই গজের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলার বাধ্যবাধকতায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেনা বন্দোবস্তে স্থান সংকুলান কি আদৌ সম্ভব? একঘরে চল্লিশ জনের একটা সেকশন - এটা যদি আর সম্ভব না হয়, তাহলে স্কুল বাড়িগুলোতে স্থানসংকুলান বাড়াতে হবে, হয় সময় বাড়িয়ে, না হয় জায়গা বাড়িয়ে। সেটা যদি সম্ভবও হয়, তাহলে কয়েকগুণ বেশি শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এই সম্ভাবনাগুলো সম্পর্কে সরকার বা কোন প্রশাসনিক
...টিকা নিয়ে জনসাধারণের সংশয় দূর করতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নিদান, যার দায় নাকি আবার ফোরাম নেবে না, নেহাতই লেখকদের ওপর বর্তাবে। রাষ্ট্র নির্দ্দেশিত বিজ্ঞানের প্রতি আস্থা তৈরির জন্য এই বিজ্ঞাপনী উদ্যোগ কি আদৌ ভরসা যোগায়? নাকি রাষ্ট্রীয় বলপ্রয়োগের ভয় তৈরি করে?