জনস্বাস্থ্য মোর্চা তৃতীয় বর্ষে পড়তে চলেছে। আমাদের ওয়েবসাইট চালু হল।

করোনা অতিমারির শেষ ঘোষণা হয়েও মারি বিদায় নিল না। সরকার বলছে যে এবছর শীতের গোড়া থেকেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। নিদানও এক আছে। মাস্ক, আইসোলেশন, ভ্যাক্সিন। এক বছর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামিনাথন একটি টুইটে উল্লেখ করেন যে "অতিমারি পরবর্তী সময়ে হৃদযন্ত্রের, স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যার বিপুল বৃদ্ধির মোকাবিলা করার জন্য আগাম প্রস্তুত থাকতে হবে।" তাঁর কথা আজ অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেছে।

এবছর গর্বা নাচের মরশুমে গুজরাটে সরকারি স্বাস্থ্য দপ্তর এক অভূতপূর্ব ব্যবস্থা নিয়েছিল। স্বাস্থ্য দপ্তর আশঙ্কা করছিল যে গর্বার মরশুমে নাকি এবছর প্রচুর মানুষ নাচতে নাচতে আকস্মিক হার্ট আট্যাকে আক্রান্ত হতে পারে। তাই শহরে বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের কার্ডিয়াক ইমারজেন্সির জন্য তৈরি ছিল মেডিকাল ভ্যান। বহু হাসপাতাল সক্রিয় ছিল কার্ডিয়াক ইমারজেন্সির জন্য। এতো তৎপরতা সত্ত্বেও সব মৃত্যু এড়ানো যায় নি। বহু খেলোয়াড় প্রাণ হারাচ্ছে খেলার ময়দানে। সমসাময়িক আরেকটি তথ্য চমকে দেওয়ার মতো। মার্চ ২০২৩ এ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে এই সময় নাগাদ প্রতিদিন গড়ে দেশে দেড় লক্ষ মানুষের হৃদযন্ত্র বিকল হচ্ছে। বিশেষত অল্প বয়সীদের মধ্যে এর কোন পূর্ব লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। দেশজুড়ে বাড়ছে ব্রেন স্ট্রোকের সংখ্যা।

বিশ্বের সব থেকে বেশি ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ নাকি থাকে আমাদের দেশে। উচ্চরক্তচাপ এবং অন্যান্য অসংক্রামক রোগের পরিমাণ জনতার মধ্যে ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী।

এসব কিছুকে 'লং কোভিড' নামে চিহ্নিত করে সরকার প্রয়োজনীয় গবেষণা বন্ধ রাখছে, তথ্য গোপন করছে। বহু অপচেষ্টার পরেও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের সাথে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদির কোন যোগাযোগ প্রমাণ করা যায়নি। বরং পৃথিবী জুড়ে করোনার যে চিকিৎসাবিধি ব্যবহৃত হয়েছিল তার আদৌ কোন যৌক্তিকতা ছিল কিনা তা নিয়ে বারে বারে প্রশ্ন উঠেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত করোনা পজিটিভ এবং শ্বাসতন্ত্রের রোগলক্ষ্মণ মুক্ত করোনা পজিটিভ মানুষদের ওপর একইরকমভাবে যথেচ্ছ স্টেরয়েড ব্যবহার আমরা করোনাকালে দেখেছি। জিন পরিবর্তন প্রযুক্তির দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে বহুকাল ধরে। সেই স্বল্পপরীক্ষিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি দ্রুততার সাথে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল করোনা টিকা। বিতর্কিত প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি এই করোনা টিকা কিন্তু ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই গণহারে প্রয়োগ করা হয়েছিল। বিধি ভাঙা যৎসামান্য ক্লিনিকাল ট্রায়াল যা হয়েছিল তার ফলাফল সরকার প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে যে সরকার নাকি মানুষকে টিকা নিতে বাধ্য করেনি এবং টিকার কার্য্যকারীতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য জনসমক্ষে আনা যাবে না। জনতাকে বিশ্বাস রাখতে বলা হয়েছিল ১১০% নিরাপদ ঘোষণার ওপরে। বিশ্বাস রাখতে বলা হচ্ছে অপ্রামানিত 'লং কোভিড' তত্ত্বের ওপর। মনে রাখতে হবে যে বাড়ছে দূষণ (আর তার জন্য দায়ী কেবল আপনি-আমি)। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে দূষণ বা আমাদের দৈনন্দিন যাপন আজকের থেকে খুব আলাদা কিছু ছিল না। তাহলে আজকে খেলার মাঠে অল্পবয়সী খেলোয়াড়দের অকস্মাৎ হৃদরোগে মৃত্যু এতোটা বেড়ে গেল কেন? গর্বা নাচের সময়ে অতিমারীর আগে কেন কার্ডিয়াক ইমারজেন্সি ইউনিট তৈরি রাখার প্রয়োজন হত না?

করোনাকালের চিকিৎসাবিভ্রাট একটি ভয়ঙ্কর জনস্বাস্থ্য সঙ্কটের সূচনা করেছে যা আগামী দিনে আরও ঘনীভূত হবে। একটি জনস্বাস্থ্য সংগঠন হিসেবে মানুষের সামনে যথাযোগ্য প্রমাণ সহযোগে সেকথা তুলে ধরার দায় আমাদের ওপর বর্তায়। সেই ভাবনা থেকে আমরা সুন্দরবন শ্রমজীবী হাসপাতাল এবং বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলাম। জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ এই সময়সীমার মধ্যে এই দুটি হাসপাতালে যত রোগী চিকিৎসা করাতে ভর্তি হয়েছেন তাঁদের তথ্য থেকে আমারা একটি রিপোর্ট তৈরি করেছি। আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি যে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, রক্তক্ষরণ, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো লক্ষ্মণ এই হাসপাতাল দুটির রোগীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ট্রেন্ড কিনা। এই দুটি হাসপাতালেই রোগীরা আসেন হাসপাতাল সংলগ্ন অঞ্চলের দিনমজুর, শ্রমিক বা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। এই দুটি হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যে আমরা কিছু সামঞ্জস্য খুঁজে পেয়েছি যার থেকে আমরা একথা আজ জোরের সাথে বলতে পারি যে উপরোক্ত লক্ষণগুলি এই দুই হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক মাত্রায় ক্রমবর্ধমান ট্রেন্ড।

আমরা দেখেছি ২০১৯ থেকে ২০২২ সময়সীমায় বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালে যত রোগী ভর্তি হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা এবং স্ট্রোক যথাক্রমে প্রায় ৪৫৫%, ৪৪৫%, ৩৪৩%, ৪৯১% এবং ৮১১% বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে সংখ্যাগুলি নিজেরাই কথা বলছে। মনে রাখতে হবে যে এই দুটি হাসপাতালে ইমারজেন্সি পরিষেবা না থাকার কারণে রক্তক্ষরণ, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের রোগীরা এখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আসেন না। তাই আমরা মনে করছি যে দেশের জনতার মধ্যে এইসব রোগের প্রকোপ আরও বেশি সংকটজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 'করোনাকালের চিকিৎসা বিভ্রাট ও জনস্বাস্থ্য' রিপোর্টটিতে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া রয়েছে। রিপোর্টটি খুঁজে পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটেও।

আশি-নব্বই এর দশকে IMF আর বিশ্ব ব্যাঙ্কের ঋণের হাত ধরে আমাদের দেশে আসে একগুচ্ছ কাঠামোগত সংস্কার, বেসরকারিকরণের দরজা উন্মুক্ত হয়। জাতি সংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রভৃতি অতিরাষ্ট্রিক সংস্থার প্রভাব বাড়তে থাকে দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে ধারাবাহিকভাবে রুগ্ন এবং অর্থহীন করে তোলা জরুরি ছিল বেসরকারি ডায়াগোনস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমের রমরমা ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। প্রয়োজন ছিল সরকারি পরিষেবাতে PPP মডেলে ডায়াগোনস্টিক পরীক্ষার জন্য প্রাইভেট কোম্পানির জায়গা করে দেওয়া। পাশাপাশি লকডাউনের আগে থেকেই সরকারি স্বাস্থ্য বীমার ঘোষণা শোনা যাচ্ছিল। দেশের এক বড় সংখ্যক জনগণ আয়ুষ্মান ভারত বা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এজাতীয় স্বাস্থ্যবীমা প্রাথমিক ও আউডডোর পরিষেবায় কার্যকরী নয়। প্রসঙ্গত, সারা ভারতে চিকিৎসা পরিষেবার পিছনে জনতা যা খরচ করেন, তার প্রায় ৬৬ শতাংশ ব্যয় হয় আউটডোর চিকিৎসা ও ওষুধপত্র কিনতে,যা এরূপ চটকদারী স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্পের আওতার বাইরে। ফলস্বরূপ সামান্য কিছু জটিল রোগের চিকিৎসায় কেবলমাত্র স্বাস্থ্যবীমা প্রযোজ্য। খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এড়িয়ে যেতে, কারণ তাতে কর্মক্ষেত্রে দৈনন্দিন মজুরির রাস্তা বন্ধ হয়। এদিকে বছরের শেষে প্রিমিয়ামের প্রায় পুরো টাকাই করদাতাদের পকেট থেকে যায় বীমা কোম্পানিগুলির পকেটে। এই বীমা ভিত্তিক স্বাস্থ্যকাঠামো স্বাস্থ্যের অধিকারের নাম করে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র বা হেলথ আই ডির মধ্যে বেঁধে ফেলে মানুষকে একধরনের স্বাস্থ্য নজরদারীর দিকে ঠেলে দেওয়ার রাস্তা পরিস্কার করছে। মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকারের স্লোগান 'সকলের জন্য স্বাস্থ্য' আজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বীমা কোম্পানির বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন।

১৯৪৬ সালের ভোরে কমিটির রিপোর্ট সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিল যাতে দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব সরকার নেয়। কিন্তু শেষ অবধি ভারতীয় সংবিধানে স্বাস্থ্য মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। ১৯৮৬ সালের "ক্রেতা সুরক্ষা আইন" করে চিকিৎসা পরিষেবাকে আইনী ভাবে "পণ্য" হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ফলে চিকিৎসা পরিষেবার পরিণত হয়েছে চিকিৎসা বাজারে। সেই চিকিৎসার বাজারের উপভোক্তার কিন্তু কোন অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।

বিশ্বের চার ভাগ ক্ষুধার্ত মানুষের এক ভাগ বাস করে ভারতে। ২০২২ থেকে ২০২৩সালে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক সারণীতে ভারতের স্থান ১২৫টি দেশের মধ্যে ১০৭ থেকে নেমে ১১১নম্বরে পৌঁছেছে এবং দেখা যাচ্ছে শিশুমৃত্যু, অপুষ্টি আর অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রে ভারতের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আবার পৃথিবীর যে পঞ্চাশটি দেশে স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ সর্বনিম্ন ভারতবর্ষ সেই তালিকাতেও রয়েছে। এবিষয়ে আমাদের পত্রিকায় লিখেছেন শ্রী সন্দীপন মিত্র। আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ম্ভর। পৃথিবীর বহু দেশের খাদ্য সুরক্ষা নির্ভর করে ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া শস্যের ওপর। অথচ দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ফর্টিফায়েড চাল এবং জি এম শস্যের মতো বিতর্কিত প্রযুক্তি নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। জি এম শস্যের বিপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন ডাঃ অনুপম পাল। খাদ্য সমস্যা মোকাবিলায় আরও এক ধাপ এগিয়ে হাজির হয়েছে নতুন প্রযুক্তি ল্যাব মিট। স্বল্প খরচে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে আদৌ এই নতুন প্রযুক্তি কার্যকরী নয়।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিম্নোক্ত দাবীগুলি জনমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জনস্বাস্থ্য মোর্চার পথচলা।

ক) চিকিৎসা পরিষেবার ধারাবাহিক বেসরকারিকরণ এবং বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবীমার নামে কর্পোরেট লবিকে পুষ্ট করার চক্রান্ত বাতিল করুন।

খ) নিজেরা সংগঠিত হন যাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্লক হাসপাতাল বা সদর হাসপাতালগুলিতে সরকার উপযুক্ত পরিষেবা দিতে বাধ্য থাকে। সঠিক মূল্যে সঠিক মানের ওষুধ সরবরাহ করতে হবে সরকারকে।

গ) সংক্রামক রোগের ভয় দেখিয়ে MR, MMR, HPV, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি হরেক রকম জি এম টিকা নিতে মানুষকে বাধ্য করা হচ্ছে। এগুলির সর্বাঙ্গীণ বিরোধিতা করুন, শিশুদের এগুলির প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।

ঘ) পর্যাপ্ত রেশন ও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর মিড ডে মিল সারা বছর দিতে হবে। রাসায়নিক সমৃদ্ধ শাক-সব্জি, মাছ-মাংস, ফর্টিফায়েড চাল, জিন শস্য, ব্যবহার করে পুষ্টির জোগান দেওয়ার অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।

ঙ) স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

চ) করোনার টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে হবে, টিকার কার্য্যকারীতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার যথাযথ তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে।

ছ) সার্বিক পরিবেশ রক্ষার দায় সরকারকে নিতে হবে।

জ) জনস্বাস্থ্যের অজুহাতে বা অন্য কোনো অজুহাতে লকডাউন নামিয়ে আনা বা জরুরী অবস্থা জারি করা যাবে না।

ঝ) যেকোনো চিকিৎসা প্রত্যাখ্যানের সাংবিধানিক অধিকারকে মান্যতা দিতে হবে।

জনস্বাস্থ্যকে হাতিয়ার করে সরকার (বকলমে কর্পোরেট) সাধারণ মানুষের ওপর আজ এক অভূতপূর্ব ধারাবাহিক আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। নিজেদের তাগিদেই আজ আমাদের সংগঠিতভাবে এই আক্রমণকে প্রতিহত করতে হবে। জনস্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং সেই অধিকার আদায়ের জন্য মানুষকে সংগঠিত করা জনস্বাস্থ্য মোর্চার আগামী দিনের লক্ষ্য।

২৩শে জানুয়ারি, ২০২৩