আমাদের এই 'স্বাধীনসার্বভৌমদেশে মাঝে মাঝেই দেখা যায় যে বিদেশের সঙ্গে সহযোগিতার হিড়িক পড়ে যায়। নানান দেশের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের দেশের সরকার নিজের দেশের উন্নয়ন ঘটাতে চায়।

যেমন হয়েছিলএক দশক বা তার কিছু আগেআমাদের দেশে যখন পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সাজো সাজো রব উঠল। জানা গেলফ্রান্স আমাদের পারমানবিক চুল্লীর প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করতে উদগ্রীব। অবশ্যই দক্ষিণার বিনিময়ে কিন্তুসাহায্য তো। জ্ঞানের কি আর দাম ধার্য্য করা যায়আমরা আপ্লুত। কিছুদিন পরে অবশ্য জানা গেল যে ফ্রান্সেই বহু পারমানবিক চুল্লী বন্ধ (ডি-কমিশনকরার পরিকল্পনা হয়েছে। পারমানবিক চুল্লী বন্ধ করলেতার যন্ত্রপাতিগুলো যে জন জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠেসেই সাক্ষ্য বিজ্ঞানীরা দিতে পারবেন। অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের প্রযুক্তিগত বহু সহযোগিতার চুক্তি পর্য্যালোচনা করলে এরকম নানা চিতাকর্ষক সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। দেখুন দেখিবিজ্ঞান নিয়েদেশের সুরক্ষা নিয়ে কিরকম "রাজনীতিহচ্ছে।

সে যাক গেআমি এখন অবশ্য বিজ্ঞান বা রাজনীতি কোনোটা নিয়েই কথা বলতে বসিনি। শুধু একটু সজাগ থাকার আহবান জানাচ্ছি আপনাদেরআমাদের সবার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে।

২০২০ সাল থেকেইআমরা গুটিকয়েক মানুষ বলে আসছিযে এই কোভিড প্যানডেমিক আসলে একটা অজুহাতযে অজুহাতে লকডাউনের মাধ্যমে জনমানুষকে ঘরে বন্দী করেসরকার রুটি রুজি কেড়ে নেবে শ্রমজীবী মানুষেরজমি কেড়ে নেবে কৃষকেরআর ব্যবসা কেড়ে নেবে ছোট ব্যবসায়ীদের। সেই জায়গা বেদখল করবে বড় বড় কর্পোরেট পুঁজির সংস্থা। দেখা গেছে যে তাই হয়েছে। কোন ক্ষেত্রে সে চেষ্টা সফল হয়নি। কিন্তু সে চেষ্টা হয়েছে। বলে এসেছিলাম যে এই কোভিড পরীক্ষার জন্য আর টি পি সি আর পরীক্ষাটি ভুয়ো। আমেরিকার সিডিসি নামক সংস্থার নিজের দলিলের মধ্যে দিয়েই আজ প্রমাণিত যে এই পরীক্ষা দিয়ে কিছুই প্রমাণিত হয় না।

২০২১ থেকে আমরা বলে আসছিযে কোভিড ভ্যাক্সিন অপ্রয়োজনীয়এবং বিপজ্জনক। আজ বিভিন্ন বিজ্ঞানীর এবং বিজ্ঞানীদলের গবেষণার ফলে প্রমাণিত যে এম আর এন এ প্রযুক্তির কোভিড ভ্যাক্সিন বিপজ্জনক।

 

সংবাদে প্রকাশিত যে পশ্চিমবঙ্গে নভেম্বর থেকে মিজলস এবং জার্মান মিজলস (রুবেলাসংক্রমণ এর বিরুদ্ধে টীকাকরণ অভিযান শুরু হতে চলেছে। দেওয়া হবে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের শিশুদের।

ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন গ্রুপের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীএই ভ্যাক্সিন এর বুস্টার ডোজ দেওয়া হয় ৩ বছর ৪ মাসের মাথায়। আর ভারতের ন্যাশনাল হেলথ পোর্টাল এ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই ভ্যাক্সিন দেওয়া যায় ৫ বছর বয়স অবধি। অর্থাৎ ক্লাস ওয়ান এ ওঠার আগে।

এছাড়া৫ বছর বয়সের পরে এই ভ্যাক্সিন অপ্রয়োজনীয়কারণ এই বয়সেই মাম্পসমিজলস এবং রুবেলা (জার্মান মিজলসরোগ গুলো থেকে শিশুরা সব থেকে বেশী অসুস্থ হয়ে পড়েএবং এত ছোটো শিশুদের যেকোনো ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা অসুবিধাজনক।

তাহলে প্রশ্নপনেরো বছর অবধি শিশুদের এই ভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার দরকার হয়ে পড়ল কেনপাঁচ থেকে পনেরো বছরের মধ্যে হঠাৎ কি কারণেবুস্টার ডোজ দেওয়া হবে এই ভ্যাক্সিনেরযা আগে কোন দিনও হয়নি ?

 আবার কোনো দেশ কি আমাদের দেশের সরকারের দিকে "সহযোগিতারহাত বাড়িয়ে দিলআমাদের উপকার করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলঘটনা কিআমাদের জানা নেই। হয়ত কোনো সাংবাদিক কোনোদিন খুঁজে পাবেন এর কারণ। এই বুস্টার ডোজ আপনার শিশুকে আপনি দেবেন কি নাসেটা আপনার সিদ্ধান্ত। কিন্তুআপনার শিশুর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রশ্ন করতে ভুলবেন না। আপনার সরকারকে। জন প্রতিনিধিদের। মনে রাখবেনইয়োরোপে এমন বেশ কিছু ভ্যাক্সিন আছেযেগুলোতে আগে কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ ছিলো বলে মন্তব্য করেছে অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন গ্রুপ। এখন আর নাকি নেই। এমন নয় তোযে ক্ষতিকারক পদার্থ ওয়ালা বেশ কিছু ভ্যাক্সিন তাদের দেশে অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছেবাড়তিএবং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে?