না,এ ডায়েরিতে তিথি নক্ষত্র ধরে কিছু নেই। আছে শুধু আমার মতো জনতার ভিড়ে আড়াল হয়ে যাওয়া গড়পড়তা, অবিশেষজ্ঞ একজন বা একদল মানুষের দিনলিপি।

গত আড়াই তিন বছরে প্রতিটি দিন আমার চারপাশে,আমার মতই কত মানুষকে যে বদলে যেতে দেখেছি,তার সংখ্যায় হিসেব রাখা অসম্ভব!! দীর্ঘদিন “সবকিছুতে খুঁজবো কারন,অন্ধভাবে মানবো না” জপতে জপতে হঠাৎই কেমন প্রশ্নহীন আনুগত্যে আশ্রয় নিয়েছেন!!

যবে প্রথম শুনেছি কোনো নতুন এক অদৃশ্য জীবানু নাকি এক ‘মারি’ রূপ ধারণ করে ক্রমশ ‘অতি’ হয়ে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বা পড়বে! যদিও এই ‘অতি’র সংজ্ঞাও আজ বদলে দিয়ে যুগোপযোগী (!!!) করে ফেলা হয়েছে!! তার আবার এক পোশাকি নামও না কি আছে। কারুর কাছে ‘কোরোনা’,কারুর জীবনে ‘করুণা’!

ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ভাইরাসের মধ্যে কারুর এমন একটা দুর্দান্ত নাম আর ছবি কানের সামনে বাজতে থাকলে বা চোখের সামনে ভাসতে থাকলে শিহরণ জাগে বৈকি!!

                                                                                                     

অনেক বছর আগেই শুনতাম, দেশের কোনো কোনো প্রান্তে কোনো ‘অজানা’ রোগে মানুষজন অসুস্থ হচ্ছেন,অথবা মারা যাচ্ছেন!! কী সেই ‘অজানা’ রোগ, কিছুদিন পর অবশ্য আর তার হদিস পাওয়া যেতো না,অর্থাৎ,মূখ্য ধারার সংবাদ মাধ্যমের প্রচার থেকে হারিয়ে যেতো সে খবর। এবারের, অর্থাৎ গত প্রায় তিন বছরে সংক্রমণকে ঘিরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। আকারে আর প্রকারে তা কীভাবে ডালপালা মেলেছে, একে ঘিরে লাখো লাখো ‘গণশত্রু’ তথা নানান পেশার কর্মজীবী মানুষের মধ্যে বাড়িয়ে তোলা হয়েছে কত রকমের বিভেদ আর ঘৃণা তার বিবরণ আজ আর নতুন করে বলার কিছু নেই! সবাই জানেন। তাই,ডায়েরির পাতা থেকে সেই কথা আজ সরিয়েই রাখলাম না হয়। শুধু,মনে করাতে চাই, সেই প্রায় অপ্রতিরোধ্য বাজারী প্রচার মাধ্যমে প্রতিদিন পালা করে প্রচারে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে ‘চিকিৎসক’ আর ‘বিশেষজ্ঞ’দের কথা। আর,প্রকৃত অর্থেই বিজ্ঞানের পক্ষে দাঁড়ানো হাতে গোনা কয়েকজনের কথা,যাঁরা আতঙ্কের ঢাক ঢোল কাঁসর ঘন্টা থালা বাটি বাজানো শঙ্খ ফোঁকার বিপরীতে দাঁড়িয়ে বার বার অপবৈজ্ঞানিক প্রচারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছিলেন। একজন ‘গণশত্রু’ হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদিদের বিরুদ্ধে আমার মতো অনেক ‘গণশত্রু’ সেদিন থেকেই প্রশ্নগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করেছি। যত প্রশ্ন,ততই সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘আতঙ্কপ্রেমী’ বিশেষজ্ঞ মহলে ‘গণশত্রু’দের প্রতি অসহিষ্ণুতা বাড়তে থাকাও মনে পড়ছে। তখন বুঝিনি এতো অসহিষ্ণুতার কারন কী। আজ যা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

আমি বা আমরা,এই ‘গণশত্রু’রা, ‘বিশেষজ্ঞ’ নই বলে কাণ্ডজ্ঞানহীন তো নই। তর্ক উঠলো কান্ডজ্ঞানহীন ‘বিশেষজ্ঞ’ আর আর তথাকথিত বিশেষজ্ঞতাহীন কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ, আজকের এই সংকটে কাদের বেশি বেশি করে দরকার।

আজ যেটা আমাদের মতো অবিশেষজ্ঞ তথা কিঞ্চিৎ কান্ডজ্ঞান সম্পন্ন ‘গণশত্রু’দের কাছে স্পষ্ট হয়েছে,সেটা হ’ল, তথাকথিত আতঙ্কপ্রেমী বিশেষজ্ঞকুল ব্যবস্থানিরপেক্ষতার মতো রাজনৈতিক অন্তঃসারশূন্যতার শিকার। তাঁরা কি মনে করেন যে আজ এমন একটি রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সারা বিশ্বজুড়েই চলমান যে, এর ধারক ও বাহকরা মানব কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ??..সারা বিশ্বের কথা না হয় বাদই থাক,আমরা আমাদের দেশেই বা কী দেখছি? দীর্ঘদিন ধরেই, মানব কল্যাণে বিজ্ঞানের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হ’ল গবেষণা, তাতে অর্থ বরাদ্দ কমতে কমতে আজ প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। গবেষণায় যদি এই হাল হয়,তবে সত্যিটা জানা যাবে কীভাবে? এটা বুঝতে কি বিশেষজ্ঞ হওয়া খুব দরকার? যদিও, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা বিশ্বব্যবস্থার পরিচালক ও তাঁর তাঁবেদার শ্রেণির স্বার্থেই হবে, বলা ই বাহুল্য। তবুও এমন একটা সময় কি ছিলোনা,যখন প্রতিকুলতা সত্বেও মৌলিক গবেষণারও যথেষ্ট গুরুত্ব ছিলো?

আজকের এই নতুন উদারবাদী রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল স্লোগান ‘এক বিশ্ব ব্যবস্থা’ । দেশে দেশে ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বলে আর কিছু থাকবে না। একটিই মুখ্য কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে সবার সবকিছুই। আর, কার্যালয়ের মুখিয়া হ’ল বৃহত্তর কর্পোরেট জগৎ। তাদের হাতেই থাকবে তথ্য থেকে শুরু করে নজরদারি ও বিরুদ্ধ মত দমনের নানা মাধ্যম।

এরই প্রায় সফল মহড়া দেখেছি গোটা কোভিড পর্ব জুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর বিশ্ব বানিজ্য সংস্থা কার্যত একটিই নিয়ন্ত্রক শক্তি হয়ে উঠলো। একটি ফ্লু ভাইরাসকে সামনে রেখে, অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে একের পর এক নিদান জারি করে, চিকিৎসার নামে কার্যত গণহত্যায় মেতে উঠলো। এক দিকে চলল তথ্য সন্ত্রাস অন্যদিকে তথ্য নিয়ে কারচুপির মহড়া। অবৈজ্ঞানিক অসম্পূর্ণ বিপজ্জনক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সহ গণটিকাকরনের নামে গণহত্যার পরিকল্পনা!! এক দিকে ‘গণশত্রু’রা যতই বার বার জানতে চাইছে অবৈজ্ঞানিক ভাবে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অসম্পূর্ণ রেখে সেই টিকার সাহায্যে কীভাবে গণ টিকাকরণ‌‌‌ সম্ভব? ততই ‘বিশ্ব স্বাস্থ্যবানিজ্য কেন্দ্র’ দ্বারা কোভিড নামসংকীর্তনে নিয়োজিত ‘বিশেষজ্ঞ’ চিকিৎসককুল অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন!!

এবং তথ্য!!..তথ্যের জোয়ার না কি তথ্যের ভাগাড়? শুধু তথ্য আর তথ্য!! তথ্য বিশ্লেষণে বিশ্ব স্বাস্থ্যবানিজ্য কেন্দ্রের বানিয়াদের রুচি নেই!! যেখানে যত বিরুদ্ধ প্রশ্ন,বিরুদ্ধ মত,ততই নিষেধাজ্ঞা!!.. বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা,ভিডিও ডিলিট করে প্রচার বন্ধ করা। ওষুধ প্রয়োগ ও টিকাকরনে ‘ইনফর্মড কনসেন্ট’ বলে একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত বেমালুম গায়েব করে দেওয়া!! সবই চলল ও চলছে ‘বিশেষজ্ঞ’দের মদতেই!!

‘বিশেষজ্ঞ জনস্বাস্থ্যবিদকুল’ও কোনো এক জাদুমন্ত্রবলে চুপ, ‘ধ্যানমগ্ন’!! অথচ,কোভিড পর্বে এ দেশে চলমান দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত মানুষদের কী হয়েছে, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা না করিয়ে কত মানুষ মরল, কত মানুষ শুধু শত শত মাইল হেটেই মরে গেলো, ‘বিশেষজ্ঞ’ মহলে তথ্যের প্রচার নেই, আলোচনাও নেই!!..যত প্রশ্ন শুধু ‘গণশত্রু’দের!!

কিঞ্চিৎ কান্ডজ্ঞানসম্পন ‘গণশত্রু’রা তো বটেই,এমন কি বহু ‘বিশেষজ্ঞ’রাও জানেন যে স্বাস্থ্য মানেই শুধু চিকিৎসা নয়। অথচ বহু জনস্বাস্থ্যবিদ, কেবল চিকিৎসক হিসেবেই আত্মতৃপ্তিকে সম্বল করে জনস্বাস্থ্য চর্চায় মগ্ন!!..তাঁদের মধ্যেই বেশি করে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্যবানিজ্যের কর্পোরেটনীতিই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর পেছনে কতটা স্বাস্থ্য আর কতটা জনস্বাস্থ্য,এই প্রশ্নই ‘গণশত্রু’দের মনে জেগেছে বার বার। জনৈক ‘গণশত্রু’র এমনই এক ‘বেয়াদপি’ প্রশ্নের জবাবে জনৈক জনসাস্থ্যবিদ, অত্যন্ত সততার সাথে,সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর জানা নেই বলে,এটাও বললেন, “এই ‘মহামারি’(অতিমারি) কালে একটা গাইডলাইন মেনে তো চলতে হবে!!” একজন ‘গণশত্রু’ জিজ্ঞাসা ‘গাইডলাইন’টি কতটা বিজ্ঞানভিত্তিক? যদি তাই ই হয় তবে বিজ্ঞানটা কী? ‘গাইডলাইন’টা কে বা কারা তৈরী করেছেন বা তার চেয়ে বড় প্রশ্ন এই ‘নিওলিবারাল’ যুগে কত জন ‘জন’এর সাথে কী আলোচনার ভিত্তিতে তৈরী হয়েছে? তাহলে এরকম একটা ‘গাইডলাইন’ জনস্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত জনগণের ওপর গায়ের জোরে চাপাতে হচ্ছে কেনো? কোথাও কোনো উত্তর নেই!!! তাহলে কি “প্রশ্নগুলো সহজ,আর উত্তরও তো জানা”??

অদ্ভুত ‘জনস্বাস্থ্য’!!.. জনস্বাস্থ্য বলবো আর জেনেটিক্যালি মডিফায়েড খাদ্য,ভ্যাকসসিনের বিপদের কথা বলবো না!!..স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বলবো আর খাদ্য সুরক্ষার কথায় ঢোঁক গিলবো,তা কী করে হয়?? ‘জন’ বলতে যদি মানুষ বুঝি,তবে জনস্বাস্থ্যের ‘গাইডলাইন’ মানাতে গিয়ে মানবাধিকারের কথা বেমালুম চেপে যাওয়া কী প্রকৃতির ‘জনস্বাস্থ্য’?? ‘জনদরদী’ সরকার বাহাদুরের নিজেরই ঘোষণা, “কোভিড ভ্যাক্সিন বাধ্যতামূলক নয়” আর টি আই করে জানতে হচ্ছে কেনো? ‘গাইডলাইন’প্রেমী ‘জনস্বাস্থ্যবিদ’রা গোপন করেছেন কার স্বার্থে?? না, এটা বোধহয় আর টি আই করে জানতে হবে না!!..’গণশত্রু’রা কিঞ্চিৎ কান্ডজ্ঞান দিয়ে বুঝতে পারবে!! ‘গণশত্রু’র প্রশ্ন, কোভিডবিধির ‘গাইডলাইন’প্রেমী কজন ‘জনস্বাস্থ্যবিদ’ টিকা নিয়ে কত’জন’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,তার তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন? কেনো সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের কোনো দায় নেবেন না বলার পরও ভ্যাকসিন নিয়ে ‘ইনফর্মড কনসেন্ট’ ছাড়াই এতদিন ধরে খোদ সরকারি দপ্তরেই(এবং বেসরকারি ক্ষেত্রেও) বেআইনিভাবে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক কেনো করা হয়েছে, ‘গাইডলাইনপ্রেমী’ ‘জনস্বাস্থ্যবিদ’গন জানতে চাইছেন তো?? ‘’কোনোও ক্ষতি হবে না’’ বলে সরকার বা ভ্যাকসিন কোম্পানীর সাফাই গাওয়া, ‘জন’প্রেমী ‘জনস্বাস্থ্যবিদ’রা যতজন মানুষের ক্ষতি করেছেন ‘গাইডলাইনপ্রেমী’রাও এবার ক্ষতিপূরণের দায় নেবেন তো?? ক্ষতিপূরণের দায় যদি ওষুধ বা ভ্যাকসিন কোম্পানিরও হয়,তবে তাও আদায় করার দায় ভ্যাকসিনের গুণগানকারী চিকিৎসকরা নেবেন না কেনো?

তেমনই, লকডাউন, আপনারা, মানে বিনা প্রশ্নে ‘গাইডলাইন’পোষিত ‘জনস্বাস্থ্যবিদ’গন অন্ধের মত সমর্থন করেছেন। যে ‘জন’দের মঙ্গল নিয়ে আপনাদের ঘুম হয় না, অবৈজ্ঞানিক অকার্যকরী লকডাউনে কোটি কোটি ক্ষতিগ্রস্ত ‘জন’-দের ক্ষতিপূরণের দাবিতে আপনারা পথে নামবেন তো? না কি ‘কার আগে ত্রাণ,কে করিবে দান’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেই ক্লান্ত??

‘গণশত্রু’দের দুর্দিনে যাঁরা তাঁদের পাশে ছিলেন এবং আছেন তাঁদের কেউ কেউ বিজ্ঞানটাও কিঞ্চিৎ জানেন। তাঁরা জানেন যে,কোনো ওষুধ খেলে,ভ্যাকসিন নিলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই বলে কেউ ওষুধ খাবেন না,ভ্যাকসিন নেবেন না তা হয় না। অনেক রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কার্যকর বলেই জানি। ছোটোবেলা থেকে অনেক ভ্যাকসিনও নিয়েছি। ভবিষ্যতেও হয়তো নেবো। তাই আমরা ‘ভ্যাকসিন বিরোধী’ নই। আমরা ভ্যাক্সিনের নামে গণহত্যার বিরোধী। যেকোনও কিছুকেই, ব্যক্তি বা গোষ্ঠির সন্মতি ছাড়া মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে,তথ্য গোপন করে ওষুধ বা ভ্যাকসিন বলে গেলানোকে আমরা জনস্বাস্থ্য বলি না। গণমাধ্যমে আতঙ্ক ছড়িয়ে জনস্বাস্থ্য চর্চা হয় বলেও মনে করি না। জনস্বাস্থ্যে তথ্য ও তথ্যের সৎ ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে ‘গণশত্রু’দের বন্ধুরাও স্বীকার করেন। নিরুপায় হয়ে,গণমাধ্যমের ভয়বানিজ্য আর ‘বিশেষজ্ঞ’দের ফুৎকার উড়িয়ে দিয়ে

প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে দিন আনা দিন খাওয়া অক্লান্ত ‘যোদ্ধা’রা কিন্ত আতঙ্কবাজারী ‘বিশেষজ্ঞ’দের বিরুদ্ধেও লড়ে গেছে। ওদের মাথায় আকাশ থেকে পুষ্পস্তবক ছড়িয়ে না পড়লেও, হাততালি না পেলেও ওরাই কিন্তু ব্লিচিং পাওডার গোলা জলে স্যানিটাইস্ড হয়েছে!! ওরাও কম বড় ‘যোদ্ধা’ নয় কিন্তু।

সব শেষে, ‘গণশত্রু’দের সবার পক্ষ থেকে ‘বিশেষজ্ঞ’দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই,কারন,আপনাদের প্রতি মোহান্ধতা থেকে আপনারাই আমাদের মুক্ত করেছেন। আপনারা যাঁরা সরকারী আদেশে বিনা প্রশ্নে কোম্পানির ‘গাইডলাইন’ বা ‘প্রোটকল’ মেনে এক এক সময় এক এক রকম বিতর্কিত চিকিৎসা করতে গিয়ে সরকারী ‘গণহত্যা’য় সামিল হয়ে গেছেন বলে ‘গণশত্রু’রা আপনাদের ধিক্কার জানাচ্ছে না!!..কোম্পানি স্পন্সর্ড ‘জনস্বাস্থ্য’ নীতি মানতে গিয়ে আপনার ‘সরকার’ আপনাদেরও অনেককেই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। আপনাদেরই কেউ কেউ আমাদের ‘গণশত্রু’ উপাধি দিয়ে গায়ের জ্বালা মেটালেও,আমাদের এখনো ভরসা আছে আপনাদের অনেকের ওপর। আপনারাদেরই কেউ কেউ হয়তো ভুল কোভিড ন্যারেটিভের শিকার হয়ে কখনো অনুতপ্ত হবেন বা হচ্ছেন!!..একদিন হয়তো আপনাদেরই কাউকে কাউকে প্রকৃত গণশত্রুদের বিরুদ্ধে পাশে পাবো। সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম।

লেখক সম্পর্কে

GRAPH_AVATAR_IMG
ত্রিদীপ দস্তিদার