রাষ্ট্র কোভিড ন্যারেটিভ গিলিয়ে দিয়ে যে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করতে পেরেছে এবং লকডাউন চাপিয়ে দিয়েছে বিষয়টা শুধু এমনই নয়, জনগণের একাংশের সম্মতিও আদায় করে নিয়েছে এক্ষেত্রে। জনস্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে যে কোনও গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ এবং আন্দোলনকে দমন করতে ব্যবহার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির তোয়াক্কা না করে কৃষি বিল, শ্রম কোড সহ একের পর এক কর্পোরেট স্বার্থ চরিতার্থকারী আইন পাশ করে নিয়েছে ঘুরপথে, এমনকি সংসদকেও এড়িয়ে। জনগণের মধ্যে আলোচনা তো দূরস্থান। এসব খুব সহজেই সম্ভব হয়েছে জনস্বাস্থ্যের অজুহাত দেখিয়ে। মাস্ক, বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন, সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন সহ একের পর এক বিধি চাপিয়ে গেছে সাধারণ মানুষের ওপর, যা একদিকে কেড়ে নিয়েছে মানুষের জীবিকা, স্বাধীনতা এবং ন্যূনতম মৌলিক অধিকার। বহু মানুষ খেয়ে পরে টিকে থাকার আর্থিক সংস্থানটুকুও হারিয়েছেন এই লকডাউনে। অক্সফ্যামের মতে, মহামারির পরিণতিতে, হয়েছে, “the greatest rise in inequality since record began.” ‘প্যানডেমিক’ বা লকডাউনের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মোট ৫২২ মিলিয়ন পূর্ণ সময়ের কাজ বিনষ্ট হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম ভীষণভাবে বেড়ে গেছে এই সময়ে। মে ২০২১-এ বিশ্ব খাদ্য মূল্য গত ১০ বছরে সর্বোচ্চ হয়েছে। খাবারের দাম, অপরিশুদ্ধ তেলের দাম মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। অক্সফ্যামের ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে প্রতি মিনিটে যতজন মানুষ কোভিডে মারা গেছেন, ক্ষিদের জ্বালায় মারা গেছেন প্রতি মিনিটে তার থেকে বেশী মানুষ। পরিস্থিতির সুযোগে ছোট এবং মাঝারি ব্যবসাগুলোকে বড় হাঙরেরা অভূতপূর্বভাবে গিলে নিয়েছে মার্জার এবং অধিগ্রহণের মধ্য দিয়ে। এদিকে মহামারী শুরু হওয়ার প্রথম ত্রৈমাসিকেই (অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন ২০২০তে) মার্কিন ধনকুবেররা আরও বেশী বড়লোক হয়ে যান। ১৯ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধি পায় তাদের মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে।
ফোর্বসের রেকর্ড অনুযায়ী মহামারির প্রথম এক বছরে বিলিওয়নেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে ৬৬০ জন, আগে ছিল ২৭৭৫ জন। এবং এদের মোট সম্পদ বেড়েছে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের চেয়ে ৬৩ শতাংশ বেশী। প্রথম দশজন কোটিপতির ৬ জন ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রির। ২ জন আংশিক ভাবে ডিজিটালের। ভারতেও কোটিপতি বেড়েছে ৩৮ জন। তাদের সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আদানি আর আম্বানির অভূতপূর্ব উত্থান ঘটেছে।
সাইরাস পুনাওয়ালার সম্পদ প্রথম ৫ মাসে ৮৪.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ভ্যাকসিন উৎপাদনেরও আগের ঘটনা এটা। গ্লোবাল ফার্মা এবং বিল গেটসের সঙ্গে সুসম্পর্ক এই উত্থানের কারণ।
লকডাউনের প্রথম তিন মাসে আমেরিকায় ২০০৮-এর তুলনায় তিনগুণ বেশী কাজ হারিয়েছেন মানুষ। মহামারির প্রথম নয় মাসে দরিদ্রের সংখ্যো বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন ধনকুবেররা এই সময়ের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছে।
আমরা দেখেছি ২০০৮-এর মন্দার পর অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপগুলির প্রবল উত্থান। যদিও দেখাটা মুশকিল, কারণ এদের কথা সামনে আসতে দেওয়া হয় না। অথচ বিশ্বময় সমস্ত পলিসিকে এরাই নির্ধারণ করে। সবচেয়ে বড় তিনটি এএমজি-ই বেশীরভাগটা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ব্ল্যাক রক, ভ্যানগার্ড আর স্টেট স্ট্রিট প্রায় ১১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ সম্পদ ম্যানেজ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিকলি লিস্টেড ফার্মের প্রায় ৪০ শতাংশের শেয়ার হোল্ডার এই তিনটি এএমজি। অ্যাপেল, মাইক্রোসফট এক্সনমোবিল, জেনারেল ইলেকট্রিক আর কোকাকোলা সহ ৫০০ এস অ্যান্ড পি ফার্মের ৯০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার এই তিনটি এএমজি। বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ লগ্নি পুঁজি এদের নিয়ন্ত্রণে। আবার সমস্ত ফার্মা কোম্পানিগুলির মুখ্য শেয়ার হোল্ডার এই তিন দৈত্য। তারাই সব নিয়ন্ত্রণ করে। ভ্যানগার্ডের মুখ্য ইনভেস্টরেরা হল ডিজিটাল মোঘলরা- রথসচাইল্ড, রকফেলার, ওয়ারেন বাফেট, জর্জ সোরোস এবং ঐতিহ্যগত সম্পদশালী রক্তধারার আরও ১১ জন—Astor, Bundy, Collins, DuPont, Freeman, Kennedy, Li, Onassis এবং Reynold। WEF, UN, WTO, WHO, WB, IMF ইত্যাদি সংস্থাগুলিকে এরা নিয়ন্ত্রণ করে। ফিলানথ্রপির নামে অসংখ্য সংস্থাকে পরিচালনা করে এরা। এই ধরনের ডিজিটাল মোঘলদের সঙ্গে বৃহৎ ফার্মা কোম্পানি গুলির মেলবন্ধন চোখে পড়ে করোনা পরিস্থিতি সামনে আসার অনেক আগে থেকেই।
এরা তৃতীয় বিশ্বকে তিনটি জিনিসের মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রথমত রাজনৈতিক নেতা আমলাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এদের প্রতিনিধিরা ভারতের নীতি আয়োগ, আরবিআই গভর্নর এবং সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ইত্যাদি পদ দখল করে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে। দ্বিতীয়ত ভারতীয় কর্পোরেটদের সঙ্গে কোলাবরেশন এবং ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে তাঁদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্যে দিয়ে। এছাড়া বিভিন্ন ‘ফিলানথ্রপিক’ সংস্থার মধ্য দিয়ে। যেমন বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, রকফেলার ফাউন্ডেশন, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন ইত্যাদি। শুধু দান বা অনুদান নয়, তারা নানা সামাজিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করে চলেছে। এইভাবে জনহিতকর পুঁজিবাদ বা ফিলান্থ্রপিক ক্যাপিটালিজম এখন যে কোনও দেশের সরকারের রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। আর এই ফিলান্থ্রপির নামেই জনস্বাস্থ্যের সেক্টরে তারা ঢুকে পড়েছে বেশ ভিতরে এবং শিকড় গেড়ে বসেছে করোনা পরিস্থিতি আসার বেশ খানিকটা আগে থেকেই। সেক্ষেত্রে ভারতে আরেকটা শক্তিশালী সংস্থা হোলো ‘পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া’ (PHFI) যারা পিছনে থেকেও মহামারী এবং লকডাউনের পলিসিকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা নিয়েছে এবং পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে সামনে না এসেই। ম্যাকিন্সের সিইও রজত গুপ্তর হাত ধরে পি এইচ এফ আই প্রথম গড়ে ওঠে ভারতে। মনমোহন সিং ২৮ মার্চ, ২০০৬-এ দিল্লিতে একটি উৎসব অনুষ্ঠানে PHFI চালু করেন এবং আশীর্বাদ করেন। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বিশাল অঙ্কের অনুদান দেয় এই সংস্থাকে। পি এইচ এফ আই তে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন চারজন আমলা যাদের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল 'সুবিধাদাতা' (টিকেএ নায়ার, মন্টেক সিং আহলুওয়ালিয়া, সুজাতা রাও এবং আর কে শ্রীবাস্তব) হিসেবে কাজ করা। পিএইচএফআই বোর্ডের কমপক্ষে ১০ জন সদস্য হয় বিদেশী বা এনআরআই ছিলেন, যার মধ্যে চেয়ারম্যান রজত গুপ্তা, যিনি ১৯৮৪ সাল থেকে মার্কিন নাগরিক ছিলেন।
ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদন, টেস্টিং এবং প্রোমোশনে এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গেটস ফাউন্ডেশন প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে তাদের প্রভাব অপরিসীম। অক্সফোর্ড-এর ভ্যাকসিনকে অ্যাস্ট্রোজেনেকার হাতে তুলে দিয়ে সেটার বেসরকারীকরণ করাটা তাদের অন্যতম অবদান। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ভ্যাকসিনের উপর পেটেন্ট রাইট তুলে দিতে চাইলে প্রবল বিরোধিতা করে গেটস। ভারতের অন্যতম ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড উৎপাদন করে যে অ্যাস্ট্রোজেনেকা তার ২২ শতাংশ শেয়ার নিয়ন্ত্রণ করে গুগল। এই ছোট একটা গোষ্ঠী তাদের নেটওয়ার্কের জাল বিছিয়ে বিশ্বের অর্থনীতি, মিডিয়া, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিজের অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী সফলভাবে প্রচার চালায়। সেই কারণে প্রশ্নহীন আনুগত্যে পৃথিবী জুড়ে প্রায় সমস্ত সরকার একই ধরনের কৌশল—একই রাজনীতি অবলম্বন করেন কোভিড প্রশ্নে। ডিজিটাল মোঘল এবং মিডিয়ার কল্যাণে তারা দুনিয়া জুড়ে আক্রমণাত্মকভাবে কোভিড প্রশ্নে লকডাউন/মহামারি ইত্যাদি অ্যাজেন্ডাকে প্রোমোট করতে পারে। সাধারণের মধ্যে তাদের নিজেদের অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী চেতনা তৈরি করতে পারে এরা সমস্ত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে। নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম করতে এরা মহামারির আতঙ্ক ছড়িয়ে লকডাউন ইত্যাদি লাগু করে চলেছে।
ভারতে জনস্বাস্থ্যে রাষ্ট্রীয় খরচের পরিমাণ ভীষণ কম। সেসবের দিকে নজর না দিয়ে শুধু মহামারি বলে চিৎকার করে চলেছে। জনস্বাস্থ্য খাতে এতটুকুও বরাদ্দ কিন্তু বাড়ানো হয়নি। যে দেশের সরকার কখনও জনস্বাস্থ্য নিয়ে ভাবল না, তার হঠাৎ মহামারি নিয়ে এতো উত্তেজিত হয়ে ওঠা কি যথেষ্ট সন্দেহজনক নয়?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন কেন গেইন অফ ফাংশনের মতন বিপজ্জনক পরীক্ষায় অকাতরে অর্থ ঢালছে? চীনের উহান ল্যাবটা তৈরি হয়েছিল ফরাসী সরকারের সি.আই.আর.আই. ল্যাবের সহযোগিতায়, ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করে। শুধু চিন নয়, উহান ল্যাবে পরীক্ষা চালানোয় পশ্চিমী দেশগুলোও যুক্ত ছিল। ব্যাট লেডি উহান ল্যাবে করোনা ভাইরাসকে জিনগতভাবে পরিবর্তন করার যে কাজ শুরু করেন, তাতে টাকা ঢেলেছে US National Institute of Health (NIH)-এর একটি অংশ National Institute of Alergy & Infectious Disease (NIAID)। এই সমস্ত অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছিল ইকোহেলথ্ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট দাসজাকের নামে। তাঁর অধীনে তিনি ব্যাট লেডি শি-কে সাব কন্ট্রাক্ট করেছিলেন। ২০১৪ সালে NIH ৩.৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান বরাদ্দ করেছিল Echo Health Aliance-এর জন্য। তাঁরা আবার ৫ বছরে উহান ল্যাবকে ৫ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশী অর্থ দিয়েছেন। এখানে একটা মজার ব্যাপার হল ওবামা প্রশাসন গেন অফ ফাংশন জাতীয় গবেষণার উপর স্থগিতাদেশ দেন। ঠিক তার ৫ মাস বাদে মে ২০১৪ এ এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। কারণ NIAID-এর পরিচালক অ্যান্টনি ফাউচি এবং NIH-এর পরিচালক ফ্রান্সিস কলিন্স এই গবেষণার স্থগিতাদেশকে উপেক্ষা করতে বেশ কিছু টেকনিক্যাল ভিত্তিকে ব্যবহার করেন। অর্থাৎ এখানে মার্কিন রাষ্ট্রপতির উপরেও ছিল গোষ্ঠী স্বার্থ।
২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ল্যানসেট ম্যাগাজিনে একটা প্রবন্ধে ৮০ জন ভাইরোলজিস্ট লেখেন, “আমরা একত্র হয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের দৃঢ়তার সাথে নিন্দা জানিয়েছি, কোভিড-১৯’এর উৎস প্রাকৃতিক তাতে কোনও সন্দেহ নেই… আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম যে এই করোনা ভাইরাসটি বন্য জীবনে উদ্ভূত হয়েছে।” পরে জানা যায় এই খসড়াটি পিটার দাসজাকের করা।
ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে সমস্ত কিছুকেই লেবেল এঁটে দেওয়ার কাজটাও শুরু করেন ফাউচি এবং দাসজাক। গবেষক এবং শিক্ষাবিদেরাও অনুদান বন্ধ হওয়ার ভয়ে এদের সুরে সুর মেলাতে থাকেন।
২০১৮ টে বিল গেটস নিজেই বলেছিল যে, এমন একটা মহামারি আসতে চলেছে যেটা ৩০ মিলিয়ন মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। ২০১৯ সালে অক্টোবরে গেটস নিউ ইয়র্কে “করোনা ভাইরাস মহামারি অনুশীলন” বলে একটা ইভেন্ট আয়োজন করেন। সেখানকার মূল প্রতিপাদ্য ছিল, “মহামারির আকার ধারণ করে এমন ইভেন্টের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা দরকার।” প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক তিনি এত তথ্য তখন পেলেন কোথা থেকে। কোভিড পরিস্থিতির বেশ কিছু আগে থেকেই নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতি ব্যাপক সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে মরিয়া হয়ে খুঁজছিল পরিত্রাণের উপায়। আর সেরকম একটা পরিস্থিতিতে এই গোটা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় একটা ধারাবাহিকতার ছাপ। তাহলে এই কোভিড ন্যারেটিভ কার স্বার্থ রক্ষা করছে? জনস্বাস্থ্যের অজুহাত বিশ্ব পুঁজিবাদকে তাদের সংকট থেকে বেরনোর পথ বা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে এই ন্যারেটিভ। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে বিশ্বব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেমে আসছে ভয়াবহ দ্রুততায়। নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা (new world order) তৈরি করার মাধ্যমে মরিয়া প্রচেষ্টায় রক্ষা পেতে চাইছে প্রবল সংকটে থাকা লগ্নি পুঁজি।
এই খসড়াটি সম্পর্কে আপনার মতামত পাঠাতে পারেন