২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাপ্তি, ২৩টি টেলি-মেন্টাল হেল্থ সেন্টার। সকলের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টাকে বরাবরই জনস্বাস্থ্যের পরিসর থেকে আলাদা করে দেখা হয়, দেখা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়বরাদ্দ যখন হাস্যকর রকমের কম, তখন মানসিক স্বাস্থ্যে ব্যয় বরাদ্দের আলোচনাটা প্রহসন মাত্র। এভাবে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য-কে দুটো জল অচল বর্গ হিসেবে দেখার মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও মজার বিষয় এই যে, নীতি নির্ধারণ বা ব্যয় বরাদ্দ-র ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য-কে শারীরিক স্বাস্থ্যের থেকে এমন আলাদা করে দেখা হয়, যেন, আগে তো 'শরীর' বাঁচুক তারপরে তো 'মন'। অথচ তারপরে, মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা বা সুস্থতার শর্ত নির্ধারণে সবথেকে আগে এসে পরে 'শরীর'। কোন সরকার-ই শেষ পর্যন্ত কোন অমোঘ নিয়তি-নির্দেশিত কারণে বুঝে উঠতে পারেন না যে, শরীর ছাড়াও, মন-এর, মানসিক স্বাস্থ্যের আরও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক আছে। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক অসাম্য এবং তার সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-ঐতিহাসিক কার্য-কারণ সম্পর্কগুলোকে বাদ দিয়ে, মানসিক স্বাস্থ্য মানে যে শুধু মন-এর শরীরগত অসুখ নির্ধারণ এবং ওষুধের নিদান হতে পারেনা, আগে তো নীতি প্রণয়নকারীদের সেটা বোঝা দরকার। মানসিক স্বাস্থ্যে নিয়ে কাজ করার, কথা বলার, শুরুর বিন্দু বরং সেটা হতে পারে। তার বদলে, ন্যাশনাল ডিজিট্যাল হেল্থ ইকোসিস্টেম-এর নামে, মানসিক স্বাস্থ্যকে টার্শিয়ারি কেয়ার হিসেবে আরও দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টাটা বরং অনেক বেশি জোরদার হলো। এবং এই দূরে ঠেলে দেওয়ার প্রক্রিয়াটা এত প্রবল এবং বরাদ্দ বাড়ানো তো অনেক দূরের ব্যাপার, খরচ কমাতে এত সফল, যে, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচীর ব্যয় বরাদ্দ, ৪০ কোটি টাকা, গত আর্থিক বর্ষের বাজেট এস্টিমেট থেকে একটাকাও বাড়েনি। সমস্যাটা আরও গভীরে বোঝা যায়, যখন, এই টাকাটাও খরচ হয়নি। আসল খরচটা এর ২৭.৫ শতাংশ কম। মাত্র ২৯ কোটি টাকা।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, ভাবেন, নীতি নির্ধারণ করেন, তাঁদের অধিকাংশই, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার কারণটা খোঁজেন শুধুই সংস্কৃতি নিরপেক্ষ রোগ লক্ষণ চিহ্নিতকরণের পদ্ধতি দিয়ে। ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন, বাকি সমাজের সঙ্গে সেই ব্যক্তির সহবাসের ধরণ, তার গড়ে ওঠা, ওঠা-পড়া এগুলো কোনটাই মানসিক স্বাস্থ্যের চৌহদ্দিতে আসে না। আসে না বলেই, মানসিক স্বাস্থ্যের বাকি যেটুকু পড়ে থাকে সেটা কাউন্সেলিং। যেখানে ব্যক্তির বাইরে সমস্যার মূল কার্য-কারণ সম্পর্কগুলোকে ছোঁয়ার কোন সুযোগই নেই। ব্যক্তির বাইরের গোটা জগৎটা এই একই রকম থাকবে ধরে নিয়ে, তার সঙ্গে যোঝার, টিঁকে থাকার কিছু উপায় তৈরি করা মাত্র। মানসিক স্বাস্থ্য-কে শুধুই শারীরবৃত্তীয় কিছু ঘটনার ফলাফল এবং নিজেকে খানিক মাপ মতন ছেঁটে কেটে খাপে বসিয়ে নেওয়ার সংজ্ঞায় আঁটিয়ে দেওয়ার সুবিধেটা এই যে, তখন সারা দেশে ২৩ টি টেলি-মেন্টাল হেল্থ সেন্টার তৈরি করার ঘোষণাকেও খানিক সমাধানের মতন দেখতে লাগে। সমাধান করতে না পারার, না চাওয়ার এর থেকে বেশি সুবিধেজনক উপায় আর কিছু নেই, সমস্যাটাকেই খাটো করে দেওয়া। অথচ নীতি নির্ধারক-রা তাত্ত্বিক আলোচনায় সকলেই মেনে নেন যে, শারীরিক স্বাস্থ্যের মতনই, মানসিক স্বাস্থ্য মানেও শুধু চিকিৎসা নয়, সামগ্রিক সুস্থতার পরিবেশ তৈরি করা।
কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রতি পদক্ষেপে, গত চব্বিশ মাস ধরে আমরা এক নিদারুণ অপরিকল্পনা দেখেছি। ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার সুযোগ কেড়ে নেওয়ার ফলে, যে অসাম্য এবং অসহায়তার পরিবেশ তৈরি করা হল, তাতে এটা কোন পরিকল্পনার ফল কিনা, সেই ধন্দ-ও তৈরি হওয়া খুবই সম্ভব ও সঙ্গত। এবার এই মানুষদের জন্য কোন ওষুধের নিদান দেওয়া হবে? কী পরামর্শ দেওয়া হবে?
কোভিড পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যে ছবি আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন, সেটা যদি তাঁরা নিজেরাও বিশ্বাস করতেন, তাহলে এই বিষয়টার প্রতি আরও অধিক যত্ন নিতেন, নেওয়া উচিৎ ছিল। বিশ্ব, দেশ, রাজ্য জুড়ে যে দীর্ঘ অচলাবস্থা তৈরি হলো, তার ফলে মানুষের জীবনে যে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে তার সম্পর্কে শুরুতে কোন প্রস্তুতি না থাকতে পারে, কিন্তু বিপর্যয়ের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় চলে যাওয়ার পরে প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টাটাও যখন চোখে পড়ে না, তখন হয় ভয়াবহতার ওই চিত্রটা শুধুই ভয় দেখানোর জন্য কিনা, এ প্রশ্ন তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। নয়তো, এই কর্তৃত্বকারী অবস্থানগুলোর সংবেদনশীলতার অভাবটাই প্রকট হয়। এমনিতে, ক্ষমতা আর সংবেদনশীলতা-কে খুব একটা সহবাস করতে দেখা যায় না। কিন্তু ক্ষমতার নিয়ন্ত্রকের আসনে বসে থাকা এই সমস্ত রাষ্ট্রীয়, অতিরাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো যদি সংবেদনশীল হওয়ার ভানটুকুও যদি অন্ততঃ করতেন, তাহলে, তাঁদের দাবি অনুযায়ী, এই কোভিড পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে সামাল দিতে মানসিক স্বাস্থ্যের অনেকগুলো খামতি, ত্রুটি-কে পূরণ করে নেওয়া যেতে পারতো।
তার বদলে, আমরা দেখলাম, আমাদের দেশে, জনস্বাস্থ্যের সংকটের মতন একটা বিষয়কে বোঝা হলো, আরও বেশি করে বোঝানো হলো, যুদ্ধের উপমা দিয়ে। যুদ্ধ মানে, যা কিছু তাই হতে পারে, তার দায় নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই রাষ্ট্রনেতার স্বাস্থ্যকর্মীদের যোদ্ধার উপাধি দিলেন। একটি ভাইরাস-কে শত্রুপক্ষ সাজিয়ে যুদ্ধজিগির তুলে আসলে যেটা করলেন, নিজেদের হাত থেকে ফলাফল ও ক্ষয়ক্ষতির দায়-গুলো ঝেড়ে ফেলে, যুদ্ধের ওপর চাপিয়ে দিলেন। এবার যা কিছু হবে, সবই যুদ্ধের ক্ষয়, কোল্যাটারাল ড্যামেজ। অভিবাসী শ্রমিকদের হাজার হাজার মাইল হেঁটে চলা বা চিকিৎসকদের মৃত্যু, জীবন-জীবিকা হারিয়ে শারীরিক-মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যাপক সংখ্যক জনসাধারণ - সবই যুদ্ধের ক্ষয়, তার দায় নেওয়াটা তাই আর প্রয়োজনীয় নয়। কোভিডের সঙ্গে 'যুদ্ধ' জিগির হোক, বা 'সামাজিক দূরত্ব'-র মতন অশ্লীল কিছু শব্দ, কোনটাই হঠাৎ করে তৈরি হয় না, হতে পারে না, এর পিছনে সচেতন ভাবনা থাকে, এবং সবার আগে শব্দের এই রাজনীতির প্রভাব পড়ে মনের ওপর, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। এরকমভাবে বলা ভালো, মনের ওপর এই সম্ভাব্য প্রভাবটাকে আগে থেকে আঁচ করেই এই শব্দের রাজনীতিটা তৈরি হয়।
কোভিড পরিস্থিতি যে প্রাতিষ্ঠানিক অসাম্য তৈরি করলো, সেটাকে যদি আমরা রাষ্ট্রের কথা শুনে, একটা আকস্মিকতার ফলাফল হিসেবেও ধরে নিই, তাহলেও, একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল, মানসিক স্বাস্থ্যের বোঝাপড়ার গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করার। মানসিক সংকট-এর কারণটা শুধুই ব্যক্তির মধ্যে না খুঁজে প্রাতিষ্ঠানিক অসাম্য, দারিদ্র, বেকারি এবং এই সমস্ত থেকে তৈরি হওয়া গৃহহিংসা, বিবাদ, মনোমালিন্য – এগুলোর মধ্যে খোঁজা। একটি নির্দ্দিষ্ট সমস্যার প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্তির বিভিন্নতা অনুসারে প্রতিক্রিয়ার বিভিন্নতা স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু প্রতিক্রিয়া থেকে রোগলক্ষণ বুঝে রোগ নির্ধারণ করতে গেলে, মূল সমস্যাটাকে এড়িয়ে যেতে হয়, রেখে দিতে হয়। মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনগুলো, ভীষণই পার্থিব ও জাগতিক ন্যূনতম চাহিদাগুলো মেটানোর ক্ষেত্রে, রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ এক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারতো।
মানসিক স্বাস্থ্যের পরিসর থেকে যে এই অভাব এবং চাহিদাগুলোর কথা বলা যায়, বলা দরকার, সেটাই মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবি। কোভিড পরিস্থিতিতে সুযোগ ছিল, এই দাবিগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার। সেই অনুযায়ী, মানসিক স্বাস্থ্যের পরিকল্পনা গ্রহণ করার ও রূপায়ন করার। কিন্তু তার জন্য আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে, দেশবাসীর মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করা এবং তার সমস্যাগুলোর সমাধানের সদিচ্ছা। যেহেতু এই দুয়ের কোনটাই কোনসময় টের পাওয়া যায় না, তাই, কোভিড পরিস্থিতিতে, মানসিক স্বাস্থ্যের কর্মীদের মূল কাজ হয়ে দাঁড়ালো,
লক-ডাউন বা অন্য যে কোন নামেই হোক, অচলাবস্থার সঙ্গে মানুষকে খাপ খাওয়ানো, যাতে ব্যক্তি মানুষ তার নিজের প্রয়োজন বুঝেই এই অচলাবস্থাকে মেনে নেন।
তারপরে, মানসিক স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজ দাঁড়ালো, চিকিৎসার সুযোগ না পাওয়া মানুষদেরকে এই না পাওয়াটা মেনে নিতে সাহায্য করা।
আর শেষে, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে ঠিক হলো, এখনও পরীক্ষিত নয়, এমন টিকার যাচাই পর্বে অংশ নিতে মানুষকে উৎসাহিত করা। এমনভাবে উৎসাহিত করা যেন, টিকা নেওয়াটা যা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত, বাধ্যবাধকতা নয়, এই প্রসঙ্গটা যেন ব্যক্তির বিবেচনায় না আসতে পারে। একদিকে, যে ব্যক্তি টিকা নিতে চাইছেন, তাঁর জন্য টিকার যোগান নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতাকে আড়াল করে ব্যক্তিকে স্তোকবাক্য শোনানো, আর অন্যদিকে যিনি টিকা নিতে চাইছেন না বা টিকা সম্পর্কে সন্দিহান, সংশয় প্রকাশ করছেন, তাঁর টিকা না নেওয়ার অধিকারকে নাকচ করে তাঁকে বাধ্য করা - পরস্পরবিরোধী এবং উদ্ভট এই দ্বিবিধ প্রয়োজনে ডাক পড়লো, মানসিক স্বাস্থ্যের কর্মীদের।
এবং এতদিন ধরে, মানসিক স্বাস্থ্যের দাবিগুলোও যেহেতু সংহত হয়ে উঠতে পারেনি, ফলে এই পরস্পরবিরোধিতাটা, উদ্ভটত্বটা আর চোখে পড়লো না, এটাই তো হওয়ার কথা, এটাই তো মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব, এরকম ভেবে নেওয়া হলো।
মানসিক স্বাস্থ্যের কাছে এরকম অদ্ভূত দাবি এবং সেই দাবিপূরণে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া দায়-এর হাত ধরে, ডিজিট্যাল হেল্থ ইকোসিস্টেম-এর সঙ্গত করতে করতে ২৩ টি টেলি-মেন্টাল হেল্থ সেন্টার আসরে চলে এলো। ঠিক এখনই চিহ্নিতভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোন প্রয়োজন আছে, এমন ২৫ কোটি মানুষের তুলনায়, ২৩টি টেলি-মেন্টাল হেল্থ সেন্টারের বিকট রকমের যে অসাযুজ্যতা সেটা তো বাড়তি কথা, পরের কথা। কিন্তু এই টেলি-মেন্টাল হেল্থ সেন্টারের মধ্য দিয়ে, আরও অনেকগুলো ব্যাপার ঘটিয়ে ফেলা হলো।
মানসিক স্বাস্থ্যকে শারীরবৃত্তীয় কিছু সমস্যার প্রতিফলন এবং মানিয়ে নেওয়ার প্রকরণের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হল। রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ-এর যে প্রকৃত প্রয়োজনগুলো সেগুলোর থেকে রাষ্ট্র হাত ধুয়ে ফেললো। মানসিক স্বাস্থ্যের গোটা বোঝাপড়াটা, যেটা ইতিমধ্যেই সমর্থদের জন্য বাজার থেকে কিনতে পারার মতন একটা পণ্য ছিল সেই বাজারকেন্দ্রিকতাকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে তুলে ধরা গেল। তার বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য যে একটা অসুখের নাম কিছু রেশন ওষুধের বন্দোবস্তটুকু ছিল, সেটাকে নিয়ে যাওয়া গেল ডিজিট্যালের দূরত্বে।
জনস্বাস্থ্যের মূল লক্ষ্যটা হওয়ার কথা ছিল, শেষতম, সব থেকে দূরের সব থেকে নিরুপায় মানুষেরও প্রয়োজনকে মেটাতে পারে এমন নীতি প্রণয়ন করা। পরিবর্তে বিষয়টা, সক্ষমের, সমর্থের, সফলের অধিকার করে তোলা হল, যাতে,বাজার থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার সুযোগ কিনতে পারাটাকেই মান্যতা দেওয়া হল।
ইন্টারনেট সংযোগ, সেটা কিনতে পারার মতন সামর্থ্য, সেই সংযোগকে ব্যবহার করতে পারার মতন যন্ত্রের ব্যবহার করতে পারা, সেই যন্ত্র কেনার সামর্থ্য, সেই যন্ত্রে নিয়মিত চার্জ দেওয়ার সুযোগ ইত্যাদি সবকিছুকে ধরে নিয়ে এমন একটা পরিষেবার ধরণ ভাবা হল, যেটা ভাবনার স্তরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অধিকারকে নাকচ করে দিল।
সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশবাসীকে বাদ দিয়েই ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া তৈরির যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, কোভিড পরিস্থিতি তাকে মান্যতা দিল। ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার অংশ হতে না পারলে, বাজারে প্রবেশ-এর অধিকারকেও নাকচ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াটা অনেক বেশি জোর পেল এই কোভিড পরিস্থিতিতে। আরও বিভিন্ন পরিষেবার মতনই, কোভিড সংক্রান্ত সরকারি বয়ান, মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার পণ্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে সাহায্য করল।
এই দলিলটি তৈরি করেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলন কর্মী রত্নাবলী রায়, দীনবন্ধু ভট্টাচার্য (অবসরপ্রাপ্ত আই এ এস), অধ্যাপক অমিতাভ সেনগুপ্ত, এবং গবেষক মৌমিতা ঘোষ।
এই খসড়াটি সম্পর্কে আপনার মতামত পাঠাতে পারেন