সম্প্রতি কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে যে সব তথ্য আমাদের সামনে এসেছে সেবিষয়ে আমাদের মতামত এবং আমাদের কিছু প্রশ্ন যার উত্তর আমরা আজও পাইনি ...
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রথমত ও প্রধানত প্রয়োজন পুষ্টি। তাই জনস্বাস্থ্যের কথা ভাবতে হলে আগে জনগণের জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজনীয় যোগান ও জনগণের কাছে তা সহজলভ্য করার কথা ভাবতে হবে। এর উল্টো দিকে, খাদ্যের মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান থাকলে তা হবে ব্যক্তি ও জনসমষ্টির সুস্বাস্থের পরিপন্থি। তাই জনস্বাস্থ্যের ওপর জিএমওর প্রভাব বুঝতে হলে আগে এটা জানা দরকার জিএমও কি, এক্ষেত্রে খাদ্যের উপাদানে ক্ষতিকারক কিছু থাকে কিনা এবং থাকলে তা স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি করতে পারে। কারণ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে খাদ্যগুন আর বিবেচ্য হতে পারে না।
ছোটবেলায় সমাজ বিজ্ঞানের বইতে আমরা পড়তাম ভারতবর্ষের সম্পদের উৎস তার বৈচিত্র্যময়তা। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে 'বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান'স্লোগান ক্রমশ পাল্টে এখন one nation-one product-one language-one culture স্লোগান অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেমন হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান প্রকল্পের ঢক্কানিনাদে চিরাচরিত unity in diversityর কথা হারিয়ে যাচ্ছে, সেরকম গোটা পৃথিবী জুড়ে একই হাওয়া। ভেবে দেখুন, ২০২৩সালের G20 সম্মেলনের ট্যাগলাইন। দমদম বিমানবন্দর থেকে শহরে ঢোকার রাস্তা ছেয়ে গেছে বিশাল বিশাল হোর্ডিং-এ : “ এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ" (“One Earth. One Family. One Future”)
এক স্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীর ডায়েরি থেকে করোনার সময়ের কিছু পাতা...
আমাদের সংগঠন, জনস্বাস্থ্য মোর্চার জন্ম হয় ২০শে ফেব্রুয়ারী। আনিসকে হত্যা করা হয় ১৯শে ফেব্রুয়ারী। আমরা সম্মেলনের শুরু করেছিলাম আনিসের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে। আমাদের ইউটিউব চ্যানেল আর ফেসবুক পেজও শুরু হয়েছে আনিস হত্যার পেছনের রাজনীতি সামনে আনার মধ্যে দিয়ে।
Everybody Killed Anish Khan https://www.youtube.com/watch?v=Ka13ILZtj5c&t=35s
#justiceforanishkhan #publichealth
দুটো চেজ, তারমধ্যে একটা গাড়ির আর একটা দৌড়ে। দুটো গান ফাইট, তাতে হিরোর গায়ে একটা বুলেটও লাগতে পারে না। চোখা চোখা মন্তব্য, তার মধ্যে কিছু বন্দুক হাতে নিয়ে বা বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে। এইসব সম্বলিত কোনো থ্রিলার সাজিয়ে আমরা আপনার কাছে আসিনি। চাইও না যে আনিস এর মৃত্যু ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারনে হয়েছে বলে কেউ ছাপ মেরে দিক। জানিনা, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টীম কি তথ্য বার করে আনবে। কিন্তু আনিসের সহকর্মীরা জানে যে আনিস এর মৃত্যুর আসল কারন কি। তাদের সাথে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে সেই তথ্য। ধৈর্য্য ধরে এই ইন্টারভিউ শুনুন। বিচারের ভার তো আপনারই হাতে।
আমাদের এই 'স্বাধীন, সার্বভৌম' দেশে মাঝে মাঝেই দেখা যায় যে বিদেশের সঙ্গে সহযোগিতার হিড়িক পড়ে যায়। নানান দেশের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের দেশের সরকার নিজের দেশের উন্নয়ন ঘটাতে চায়।
যেমন হয়েছিল, এক দশক বা তার কিছু আগে, আমাদের দেশে যখন পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সাজো সাজো রব উঠল। জানা গেল, ফ্রান্স আমাদের পারমানবিক চুল্লীর প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করতে উদগ্রীব। অবশ্যই দক্ষিণার বিনিময়ে কিন্তু, সাহায্য তো। জ্ঞানের কি আর দাম ধার্য্য করা যায়! আমরা আপ্লুত। কিছুদিন পরে অবশ্য জানা গেল যে ফ্রান্সেই বহু পারমানবিক চুল্লী বন্ধ (ডি-কমিশন) করার পরিকল্পনা হয়েছে। পারমানবিক চুল্লী বন্ধ করলে, তার যন্ত্রপাতিগুলো যে জন জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, সেই সাক্ষ্য বিজ্ঞানীরা দিতে পারবেন। অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের প্রযুক্তিগত বহু সহযোগিতার চুক্তি পর্য্যালোচনা করলে এরকম নানা চিতাকর্ষক সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। দেখুন দেখি, বিজ্ঞান নিয়ে, দেশের সুরক্ষা নিয়ে কিরকম "রাজনীতি" হচ্ছে।
সে যাক গে, আমি এখন অবশ্য বিজ্ঞান বা রাজনীতি কোনোটা নিয়েই কথা বলতে বসিনি। শুধু একটু সজাগ থাকার আহবান জানাচ্ছি আপনাদের, আমাদের সবার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে।
২০২০ সাল থেকেই, আমরা গুটিকয়েক মানুষ বলে আসছি, যে এই কোভিড প্যানডেমিক আসলে একটা অজুহাত, যে অজুহাতে লকডাউনের মাধ্যমে জনমানুষকে ঘরে বন্দী
...দীর্ঘকালীন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকারকে ধরে রাখার, কার্যকরী করার এবং যেকোন গণতন্ত্রবিরোধী প্রয়াসের থেকে রক্ষা করার যে ন্যূনতম এবং সীমিত কাঠামো সেগুলোকে বাতিল করার চেষ্টায় কোভিড ন্যারেটিভকে ব্যবহার করা হয়েছে । রাষ্ট্রের এই অগণতান্ত্রিক অবস্থানের বিরোধিতা করছে গ্রাফ।
খাদ্য-স্বাস্থ্য-শিক্ষা-বস্ত্র-বাসস্থান – জনগণের সংগ্রামের এই অর্জিত অধিকারগুলোকে নাকচ করতে কোভিড ন্যারেটিভকে ব্যবহার করা হচ্ছে । এই সমস্ত বিষয়গুলোকে একচেটিয়া পুঁজির মুনাফার মৃগয়াক্ষেত্র করে তোলা হল সামগ্রিক বেসরকারিকরণের উদ্যোগ। গ্রাফ এই সার্বিক বেসরকারিকরণের তীব্র বিরোধী ।
দলিত আন্দোলনের নেতৃত্বের পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে, নরেন্দ্রপুরে সাত ফেব্রুয়ারির সমাবেশে পুলিশি অত্যাচারের ঘটনায় দোষী পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তি চাই। ওইদিনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সমস্ত গণ আন্দোলন কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।