সব শুরুরই একটা শুরু থাকে। এই অতিমারীর সময়ের শুরুটা খুঁজতে গিয়ে ক্রমশঃ পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। এক বছর, এক বছর করে এক দশক। এক দশকের এই ঘটনাপরম্পরা পুরোটাই কি কিছু আকস্মিকতার সমাহার! এত সমাপতনও সম্ভব?
ঠিক কোন উপায়ে ক্ষমতা-র প্রয়োজন-কে শাসিতের নিজের প্রয়োজন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়! ক্ষমতা-র তৈরি শাসনবিধিকে, স্বশাসিত অনুশাসন হিসেবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়! আতংক তৈরির চক্রান্ত-কে লুকিয়ে ফেলার সব থেকে ভালো উপায় হতে পারে, আতংকিত না হওয়ার যে কোন ভাষ্য-কে চক্রান্ত বলে দাগিয়ে দেওয়া।
(এই রচনাটি জুন ৫, ২০২১-এ ‘মেইনস্ট্রিম’ পত্রিকায় প্রকাশিত, কোবাড ঘান্দির প্রবন্ধ, ‘Origins of Corona and the Conspiracy Theorists’ -এর অনুসরণে লিখিত)
কোনও হুমকির সামনেও, আমি আমার ডাক্তারি বিদ্যাকে এমনভাবে ব্যবহার করব না যাতে নাগরিক স্বাধীনতা আর জনমানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হয়” – হিপোক্রেটিসের শপথের অংশ, ডাক্তারদের শপথের অংশ। তাই অতিমারীর ঝঞ্ঝার মধ্যে গণ টিকাকরণ কতটা যুক্তিগ্রাহ্য, “লকডাউন” কার সর্বনাশ ডেকে আনে, আর কার পৌষ মাস, এই প্রশ্ন ন্যায্য। অতিমারী কি প্রকৃতির স্বাভাবিক সৃষ্টি, না কোনও গবেষণাগারের কৃত্রিম নির্মাণ, “কোভিড”-এ ভোগান্তি আর মৃত্যুর চেয়ে অনাহারের বিপন্নতা আর মৃত্যু মহীয়ান কিনা, এসব কথা তুলতেই হবে।