
বিজয়গড় ও বাঘা যতীন রাজ্য সাধারন হাসপাতালে বহির্বিভাগে সমীক্ষা চালিয়ে প্রাপ্ত প্রাথমিক কিছু তথ্য।
দক্ষিণ কলকাতার দুটি সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্য মোর্চা'র একটি রিপোর্ট। আরও কিছুটা সময় গেলে হাসপাতাল দুটির উপর নির্ভরশীল মানুষদের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে গেলে মোটামুটি একটি ছবি হয়তো আমরা বুঝতে পারবো। এটি সেই কাজেরই একটি ছোট অংশ।
চাষের জমি, পানীয় জল, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল, ভূগর্ভস্থ খনিজ - প্রকৃতির সমস্ত সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানিদের কাছে মুনাফাদায়ী পণ্য মাত্র, তারা পরিবেশ রক্ষার পরোয়া করে না। কর্পোরেটদের নির্ধারণ করা উন্নয়নের যে মডেল আমাদের দেশে/ রাজ্যে বহাল রয়েছে তাতে পারমাণবিক শক্তির মতো বিপজ্জনক বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি বর্তমানে 'ক্লিন এনার্জি' বা পরিবেশ বান্ধব শক্তির তকমা পাচ্ছে! পাশাপাশি কর্পোরেট ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ সরকারদের হাতে কৃত্রিম জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিকতম যুদ্ধাস্ত্র। আমাদের রাজ্যসভায় হওয়া আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে যে ভারতের হাতে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি ভালভাবেই মজুত রয়েছে। অভাব রয়েছে কেবল কর্পোরেট মুনাফার হিসাবের বাইরে বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার। প্রকৃতি পরিবেশকে রক্ষা করার বদলে কর্পোরেট ঔদ্ধত্য জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, কারণ জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যে কোন জায়গার বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা-খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।


গতকাল ২৭শে সেপ্টেম্বর WBJDF এর ডাকা গণ কনভেনশনে তিলোত্তমা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে জনস্বাস্থ্য মোর্চা উপস্থিত ছিল। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের নেতৃত্বের হাতে আমরা আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারে পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের লেখা খোলা চিঠিটি এই পোস্টের সঙ্গে দেওয়া রয়েছে।
আন্দোলনের ৫০ দিন পার করে আমরা দেখছি রাজ্য বা কেন্দ্র কোন প্রশাসনের থেকেই সুবিচার সহজলভ্য নয়। তিলোত্তমার জন্য সুবিচার ছিনিয়ে আনতে, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার অরাজকতার সমাপ্তি ঘটাতে আমাদের আজ এক বৃহত্তর জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের ডাক দিতে হবে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও আপামর জনগণকে সংঘবদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিগুলো জোরদার করতে হবে। তবেই প্রতিটি প্রান্তিক রোগী বিনামূল্যে যুক্তিপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে পারেন। একমাত্র সেদিন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতালে ডাক্তার, চিকিৎসক বা রোগী ও তাঁর পরিবার সুরক্ষা পাবেন। সেই লক্ষ্যে আমাদের সকলের এই তিলোত্তমা আন্দোলন জারি থাকবে।


তিলোত্তমার জাস্টিসের দাবি আজ এক বৃহত্তর আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। এই স্বতঃস্ফূর্ত জনজাগরণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ সময়ের দাবি।

"এই মেয়ে শোন এই রাত এই ভোর
যতখানি পুরুষের ততখানি তোর"
ফারজানা ওয়াহিদ শাওনের এই গান আজ কত না মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।নারী,পুরুষ,শিশু, কিশোর,বাচ্চা-কোলে মা,লাঠি-হাতে বৃদ্ধা,ছোট দোকানদার,বড় অফিসার,---সকলেই গলা মেলাচ্ছে এই গানে।বয়স-পেশা-লিঙ্গ নির্বিশেষে।না,শুধু গানেই গলা মেলাচ্ছে না।পথে নামছে মানুষ।পথে নেমেছে।নেমেই চলেছে।বিরামহীন,যতিচিহ্নহীন।শুধু পাকা রাস্তাতেই নামছে না।নামছে মেঠো পথে।নামছে মহানগরে,মফস্বলে,গাঁ-গঞ্জে।জনস্রোত স্লোগানে সোচ্চার:বিচার চাই, বিচার।চাই বিচার। WE WANT JUSTICE।

মহামারীর আতঙ্ক যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না। বার্ড ফ্লু, মাঙ্কিপক্স, এমনকি করোনাও মাঝেমধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে। ডেঙ্গুর মতো চেনা রোগেও বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। দেশের আইনগত কাঠামোতে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্নে নানা রদবদল দেখা যাচ্ছে। করোনা মাহামারী আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের দেশে জনস্বাস্থ্যের বেহাল দশা। ইলেক্টরাল বন্ডের তথ্য বলছে যে শাসক দল বিভিন্ন ফার্মা কোম্পানিদের থেকে বিস্তর টাকা পয়সা ঘুষ নিয়ে অপ্রয়োজনীয়, অপরীক্ষিত বা নিম্ন মানের ওষুধ এবং প্রতিষেধক বাজারে আনার ছাড়পত্র দিয়েছে। আমাদের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে স্বাস্থ্য দুর্নীতির আরো নানান দিক। বিগত চার বছরে জনস্বাস্থ্যের এই উলট পুরান নিয়ে আলোচনা করেছেন পৌলমী।
আমরা এর আগে জিএমও নিয়ে আলোচনা করার সময় পাঠকের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরেছিলাম আর রেখেছিলাম কিছু প্রশ্ন। সমাপ্তিতে ইঙ্গিত রেখেছিলাম কারা, ঠিক কি কারণে জিএমও নিয়ে আসতে চেয়েছিল এবং এখনও চাইছে। এবারের বিষয় ল্যাব মিট বা পরীক্ষাগারে তৈরী মাংস।
পাতা 1 এর 3