
এক স্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীর ডায়েরি থেকে করোনার সময়ের কিছু পাতা...
যুক্তি যখন প্রতিষ্ঠান আর ক্ষমতা-র মান্যতার কাছে নিজেকে সমর্পণ করে, তখন এক বেজায় সমস্যা তৈরি হয়। ক্ষমতার দাপটকেই 'যুক্তি'-র প্রমাণ হিসেবে দাবি করা হয়। 'কোভিড ১৯-এর নামে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যে পাহাড়প্রমাণ অন্যায় এবং মিথ্যাচার সংঘটিত হচ্ছে, সারা পৃথিবী জুড়ে ক্ষমতাশালীদের যে আখ্যান এই অন্যায় এবং মিথ্যাচারকে ‘নিউ নরমাল’ আর ‘গ্রেট রিসেট’ বলে চালানোর চেষ্টা করছে, স্বঘোষিত যুক্তিবাদীরা তাদের সুরেই পোঁ ধরেছেন। এই চিৎকৃত আত্মরতি, নির্বোধ এবং বদ রসিকতা অনেক সময় কুৎসিত মনে হয়।'
আমাদের দেশে চিকিৎসা বরাবরই "পণ্য"। তবে ১৯৮৬ সাল থেকে সরকার "ক্রেতা সুরক্ষা আইন" করে চিকিৎসা পরিষেবাকে আইনী ভাবে "পণ্য" হিসেবে জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে । ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্র চিকিৎসা বাজারে পরিণত হয়েছে । দেশের চিকিৎসা বাজার মূলত বেসরকারী । তবে সরকারী ক্ষেত্র থেকে চিকিৎসা বিনামূল্যের বলা হলেও রোগী ও জনসাধারণকে বিভিন্ন ভাবে গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় । এ ধরনের একটি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রেসক্রিপশন প্রদান করেন ।
বিখণ্ডিত সমাজ
কোভিড নিয়ে আজগুবী প্রচার করে আমরা একটা মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত সমাজ তৈরি করে ফেললাম, ডাক্তারি ভাষায় এই ব্যাধির নাম, ‘অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার’ (উদ্বেগজনিত ব্যাধি)। সমাজটাকে এই ব্যাধি থেকে মুক্ত করতে না-পারলে বিপদ ভয়ানক।
‘কোভিডের প্যানডেমিক’কে যখন আমরা চক্রান্ত বলছি, প্ল্যানডেমিক বলছি, তখন পাঠকের মনে এই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, তাহলে এই যে এত মানুষের সংক্রমিত হওয়া, এত মানুষের মৃত্যু, এসব কি সত্যই নয়? এগুলো কি ম্যাজিক? বিজ্ঞানের যুগে আমরা তো জানি যে ম্যাজিকের পেছনে থাকে বিজ্ঞান। মানুষের চোখকে ধোঁকা দেওয়ার কারসাজি। কোভিডের এই যে এত এত সংখ্যা, এও এক ধরণের ম্যাজিক। সংখ্যাকে বড় করে দেখানোর, মানুষের মনকে ধোঁকা দেওয়ার কারসাজি। এই কারসাজি লুকিয়ে রয়েছে কয়েকটি মাত্র প্রক্রিয়ার মধ্যে। আসুন আমরা বুঝে নিই এই প্রক্রিয়াগুলো।
সব শুরুরই একটা শুরু থাকে। এই অতিমারীর সময়ের শুরুটা খুঁজতে গিয়ে ক্রমশঃ পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। এক বছর, এক বছর করে এক দশক। এক দশকের এই ঘটনাপরম্পরা পুরোটাই কি কিছু আকস্মিকতার সমাহার! এত সমাপতনও সম্ভব?
চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার প্রথম আচরণবিধি, “প্রাইমাম নন নোসের” ( প্রথমত, কোনো ক্ষতি করো না) এই শপথ বাক্যটির সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে, গর্ভাবস্থায় কোভিড টিকাকরণের পক্ষাবলম্বী চিকিৎসকরা এমন একটি অনুশীলনের পক্ষে সওয়াল করছেন, যা শুধু অনৈতিক নয় ভবিষ্যতের কাছে এক অমার্জনীয় কীর্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
পাতা 3 এর 3